দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে সংরক্ষিত নারী আসনগুলোতে ৪৮ জন প্রার্থী দেবে দলটি।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
আবু সাইদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংরক্ষিত আসন বণ্টনের বিষয়ের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নিজস্ব সংসদ সদস্য ২২৩ জন ও জোটে দুজন। সব মিলেয়ে এখন সংরক্ষিত ৫০টির মধ্যে ৪৮টি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হবে।
দুপুরে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসংক্রান্ত চিঠি নিয়ে হাজির হয় আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হুইপ স্বপন বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়াও মহিলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেত্রীরা অধিক গুরুত্ব পাবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিব সব স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, তাঁদের অবস্থান কী? তাঁরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। ৬২ জনই তাঁদের ভোটাধিকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে সমর্পণ করেছেন।
আওয়ামী লীগ যাঁকে মনোনয়ন দেবে তাঁরা তাঁকে সমর্থন দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে প্রাণবন্ত করার জন্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তকে আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সাধুবাদ জানাই।’
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটের সদস্যদের পৃথক তালিকা প্রস্তুত করার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে এবার অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হওয়ার সংরক্ষিত নারী আসনগুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়।
স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত আসনগুলোর বিষয়ে মনোনয়ন দেওয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দেওয়ায় বাকি থাকে দুটি আসন। সংসদের বিরোধী দল হিসেবে এ আসনগুলোতে নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি।