সংখ্যালঘু একটি পরিবারে হামলা ও লুটপাট করে কিশোরকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে যশোরের মণিরামপুরে উপজেলার জালালপুর ঘোষ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। অপহরণের শিকার কিশোরের নাম পিয়াশ ঘোষ (১৪)। সে পলাশ ঘোষের ছেলে ও স্থানীয় জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
একটি দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন তিনি।
এক পর্যায়ে আবুল হাসান আমাকে পাঁচ লাখ টাকার একটা চেক দেন। পরে ব্যাংকে যেয়ে টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করি। সেই মামলায় আবুল হাসানের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের সাজা দেন আদালত। সেই মামলায় কিছু দিন জেল খেটে আদালতে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি।’
আমার শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। আমাকে মারধর করে বাড়িতে লুটপাট করে। হামলাকারীরা আমার স্ত্রী ও মায়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। দাবি করা ১০ লাখ টাকা না পেয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয় তারা। পরে আমার মোটরসাইকেলসহ ১৪ বছরের ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।’
অভিযুক্ত আবুল হাসানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উদ্ধারকারী খেদাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শান্ত বলেন, ‘টাকা-পয়সার লেনদেন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার জামিনে বেরিয়ে লোক ভাড়া করে আনে মাস্টার হাসান। মোটরসাইকেল ও কিশোরকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।’
মণিরামপুর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, এই বিষয়ে কেউ জানায়নি।