কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আবার পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে এখন এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
দেশের বড় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহরে বড় ঘাটতি তৈরি হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং বেড়ে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষজন। পুনরায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
খুব শিগগির দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গতবছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন করছে। গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
পরে তা বাড়িয়ে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করা হয়। জমি অধিগ্রহণ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ছাড়াও এই টাকার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজের আওতায় ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৩৫০ মিটার প্রস্থ ও ১৮.৫ মিটার গভীর চ্যানেল, সি-ওয়ালসহ আনুষঙ্গিক ফ্যাসিলিটিস নির্মাণকাজ করা হয়েছে।