শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল করেছেন। গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতের আঁধারে এ মিছিলটি করেন তারা। ইতিমধ্যে এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক মানুষ মশাল হাতে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভিডিওতে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের। ভিডিওটি রাতেই দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন নেতার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়।গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তবে সম্প্রতি আবারও দলটি মাঠে সক্রিয় হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘সারা দেশের মতো শরীয়তপুরেও আওয়ামী লীগ পুনরায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছে। বিশেষ করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে মিছিল-মহাসমাবেশের আয়োজন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল করেছেন। ভবিষ্যতে দলীয় কর্মসূচির পরিধি আরো বাড়বে।
পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মিছিলটি আকস্মিকভাবে (জটিকা) অনুষ্ঠিত হয়। কারা এতে অংশ নিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে ‘অসাংবিধানিক ও বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে এতে প্রতিবাদ জানানো হয়।
জেলা প্রশাসকের ফ্রন্ট ডেস্কে স্মারকলিপিটি জমা দেন জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা।দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী দলীয় প্রধান হাসিনার দেশে ফিরে আসা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শরীয়তপুরেও নিয়মিত কর্মসূচি চালু থাকবে বলে দলটির জানিয়েছেন নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে আত্মগোপনে থাকা শরীয়তপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক শামীম হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, যা এক প্রকার প্রহসন। এর প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একটি স্মারকলিপি সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে আমি শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসককে ই-মেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি পাঠাই। পরে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গিয়ে সরাসরি স্মারকলিপি জমা দেন।’