লক্ষ্মীপুরে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলছে। ডাকাতরা লক্ষ্মীপুরে জোরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ডাকাতরা, ডাকাতিসহ প্রতিনিয়ত ডাকাতির চেষ্টা করে চলছে। আর এতে প্রতি রাতে ভয়ে-আতঙ্কে আছে লক্ষ্মীপুরের জনগণ। ডাকাতদের প্রতিহত করতে কিছু কিছু জায়গায় পাহাড়া দিচ্ছে স্থানীয় জনগন। আর এ সকল বিষয় দেখে সবাই প্রশাসনের দিকে নানান মতভেদ করছেন। এবার প্রশ্ন হতেই পারে তাহলে প্রশাসনের কাজটা কি?
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চররুহিতা ইউনিয়নের ঘোষের পুকুরপাড় হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতরা ব্যাংকার মো: মারুফ হোসেন চৌধুরীর বসত ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত দুইটার দিকে ডাকাত চক্রের সদস্যরা দরজার ভেতর বাহির মোট চারটি ছিটকিনির তিনটি খুলে ফেলে। অপর একটি খোলার সময় মারুফের বোন মাদ্রাসা শিক্ষিকা ওয়াহিদা আক্তার লিমা শুনতে পান। লিমা দেখেন ডাকাত চক্র বাহির থেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দরজার ছিটকিনি খোলার চেষ্টা করছে। এমন দৃশ্য দেখে লিমা শোর চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাত চক্র পালিয়ে চলে যায়।
প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ আব্দুর রহমান, স্থানীয় দোকানদার মোঃ শাহ আলম, মোঃ পারভেজ ও আজগর এ প্রতিবেদককে বলেন-‘রাত ২টার দিকে আমরা লিমার শোর চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি দরজার ছিটকিনি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং ডাকাতরা পালিয়ে গেছে।’
মাদ্রাসা শিক্ষিকা ওয়াহিদা শারমীন লিমা বলেন- ‘ডাকাত চক্র দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে আমি বাতি জ্বালিয়ে শোর চিৎকার দিলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।’ আমরা খুবই ভয়ে আছি ,আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।
ব্যাংকার মারুফ হোসেন বলেন -‘আমি চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকি। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র আমার বাড়ির দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢোকার কথা শুনি। ডাকাত দেখার পর আমার পরিবারের সবাই বিব্রতকর অবস্থায় আছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন ‘এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ডাকাতির বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’