সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান পুনর্লিখন একটা ভুল ধারণা। সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের জাতির সংগ্রামের ফসল। এটি কেবল আইনের দলিল নয়, বরং আমাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। সময়ের প্রয়োজনে সংবিধান পর্যালোচনা ও সংস্কারের আলোচনা নতুন কিছু নয়।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এই পরিবর্তনে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন কতটা ঘটবে। যদি সত্যিই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়, তবে সেটিই হবে সংবিধানের প্রকৃত পথ ও পরিবর্তনের সার্থকতা।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের ঘটনাপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করেছি। বিশেষ করে ৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষা কখনোই উপেক্ষা করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রসমাজের আন্দোলন আমাদের ইতিহাসের ধারাবাহিকতারই অংশ, যেখানে একটি প্রজন্ম তার ন্যায়সংগত দাবির জন্য রাস্তায় নেমেছে।
যেমনটি আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে। এই আন্দোলন কেবল একটি সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের জাতীয় চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।’তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শোষণমুক্ত, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। তাই বাহাত্তরের সংবিধান বাদ দেওয়ার প্রস্তাব কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়।’