বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের পরের বাস্তবতা মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে ভারতকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেদ। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যে পরিবর্তন হয়েছে তাতে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে এটা আমরা স্বীকার করি। আসুন আমরা এই বাস্তবতা মেনে নেই। আমরা শুধু এটাই চাই এই অনিশ্চয়তা থেকে উভয় পক্ষই বেরিয়ে আসুক এবং একে অপরের দাবিগুলো শুনুক।
সোমবার ওমানের মাসকাটে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এসব কথা বলেন।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পারিক সুসম্পর্ক প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। ড. জয় শঙ্করের (ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে আমার একটি ভালো বৈঠক হয়েছে।
আমার মনে হয় আমরা একে অপরের ভাষা বুঝতে পেরেছি। পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুরাও মুসলিমদের মত সমান নাগরিক। তাদের সমান অধিকার আছে, আইনে তাদের সমান সুরক্ষা রয়েছে।
সুতরাং আমরা আমাদের সংখ্যালঘুদের দেখভাল করব, যেভাবে ভারতকে তার সংখ্যালঘুদের দেখভাল করতে হয়।সীমান্ত ইস্যুতে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তের প্রধান সমস্যা হল, বিএসএফ বেসামরিক মানুষকে গুলি করে হত্যা করে, যেটা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটে না। আমরা দুই বন্ধু দেশ। এক্ষেত্রে ইস্যু আছে, সীমান্তে অপরাধের বিষয় আছে। হ্যাঁ, পৃথিবীর সব সীমান্তে অপরাধ হয়, কিন্তু তার মানে এই না যে, তারা মানুষ মারার জন্য গুলি করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেউ যদি আইন লঙ্ঘন করে, তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, ভারতের আদালতে নেওয়া যেতে পারে। আদালত সিদ্ধান্ত দেবে তাদের ক্ষেত্রে কী হবে। কিন্তু কোনো বন্ধু দেশের মধ্যে এটা কখনও হয় না যে সীমান্তে বেসামরিক লোকদের গুলি করা হয়; এমনকি তারা কোনো অপরাধ করলেও এটা হয় না।