পশ্চিম তীরে একটি সামরিক চৌকিতে মঙ্গলবার বন্দুকধারীর হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এরপর সেনারা গুলি চালিয়ে হামলাকারীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের উত্তরে তায়াসির এলাকায় স্থানীয় সময় সকালবেলা একটি সামরিক চৌকিতে ‘সন্ত্রাসী সেনাদের ওপর গুলি চালায়’। সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়ে হামলাকারীকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা জেনিন ও এর আশপাশের এলাকায় ‘সন্ত্রাস দমন অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে। জেনিন অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ইসরায়েলের এই অভিযানের নিন্দা জানিয়ে রামাল্লাহর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) মুখপাত্র জুলিয়েট তৌমা সতর্ক করেছেন, জেনিন শরণার্থী শিবিরের পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে’।
জুলিয়েট আরো বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক বিস্ফোরণে শিবিরের বড় অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ১০০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়ে যায়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে অন্তত ৮৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই সশস্ত্র যোদ্ধা। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনি হামলা বা ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৩২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।