সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সবাই সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। আমরা উপরিকাঠামো নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না। ভূমিহীন কৃষকের কী হবে, গার্মেন্টকর্মীদের স্যালারি কত হবে এসব নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাষ্ট্র যখন কুক্ষিগত হয়ে যায় তখন সবচেয়ে বড় ভূমিকা যাদের রাখার কথা, তারা হলো আপনারা যারা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন। তাহলে সে উচ্চবর্গীয় মানুষরা কেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়ে গেল? আমরা উচ্চমার্গের মানুষেরা যে ভুল করেছি সেটা যেন আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে সংশোধন করে তুলে ধরতে পারি, সেই কাজ করতে হবে। প্রকৃত মজুরির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, পণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে আমরা কবে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বা নির্বাচনের দিকে যাব।
তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক কোনো সরকার নয়। মাত্র তিন মাস আগে এ সরকার এসেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের একটা ছেদ হয়েছে।
চুরির ঘটনার অভিযোগও এলাকার নেতার পারমিশন ছাড়া নেওয়া হতো না। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স পেত না। উন্নয়নের কথা বলে টাকা ছাপানো হতো। এরকম একটা ব্যবস্থার পর নতুন একটা সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। রাতারাতি পরিবর্তন তো আসবে না। শেখ হাসিনার কোনো নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল না, জবাবদিহিতা ছিল না। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি মনে করি অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশিদের সহায়তায় সবকিছু সমাধান করে দিয়ে যাবে, এমন ভ্রান্ত জগতে যদি আমরা বসবাস করি তাহলে বিপ্লব করাটাই তো ভুল হয়ে গেছে। এখানে প্রত্যেককেই যে যার দায়িত্ব পালন করতে হবে।