লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা ক্লাসিক নামক একটি বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার সময় আরও একজন মারা যায়। আহত হয়েছে অন্তত ২০-২৫ জন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কা জনক। এদের মধ্যে কারো হাত এবং কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) মধ্য রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মো. হৃদয় (১৯), মো. ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)।
হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। সে পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনায় আহত হলেন সুমন হোসেন, রকি ইসলাম, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, শান্ত খান ও আবদুল মালেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ১০জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত পৌনে দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এ সময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যায় সিএনজির তিন চালক।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, আমরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া এসে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখেছি। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। সেজন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন জানান একটি বাস সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সিলেন্ডার লিক হয়ে ব্লাস্ট হয়ে যায়। এতে চার জনের মৃত্যু এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়। তিনি জানান, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়।