Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কোটার বিরুদ্ধে মত রয়েছে আওয়ামী লীগেও

কোটার বিরুদ্ধে মত রয়েছে আওয়ামী লীগেও

অনলাইন ডেস্কঃ

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের বহু নেতাকর্মী। তাঁদের যুক্তি, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্য কোটা রাখার যৌক্তিকতা নেই। দলের একটি অংশ এমন অবস্থান নেওয়ায় হতাশ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সহানুভূতিশীল নেতাকর্মীরা। কোটার বিরুদ্ধে মত রয়েছে আওয়ামী লীগেও

আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর একাধিক সূত্র জানায়, দলের অভ্যন্তরে কোটা রাখার পক্ষে এবং বিপক্ষে উভয় মতই রয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রাখাটাকে তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ ভালোভাবে দেখছে না।

অনলাইনে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে নানা ইস্যুতে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। কিন্তু এই নেতাদের প্রায় সবাই কোটা ইস্যুতে চুপ থাকার কৌশল নিয়েছেন।

ফেসবুকে সক্রিয় থাকেন এমন কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ফেসবুক আইডি ঘেঁটে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোটার পক্ষে কোনো পোস্ট চোখে পড়েনি।

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল চেয়ে গত বুধবার ফেসবুকে পোস্ট দেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম। সেই পোস্টে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কটাক্ষ করে অনেকেই মন্তব্য করেন। পরে দলের অভ্যন্তরে চাপের মুখে গতকাল নিজের পোস্টটি সরিয়ে নেন কামরুল ইসলাম।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও অধীন হলগুলোর নেতাকর্মীদের অনেকে ফেসবুকে লেখালেখির মাধ্যমে কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। হলগুলোর সম্পাদক পদে থাকা একাধিক নেতা কোটার বিরুদ্ধে ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে গোপনে কাজ করেছেন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী। তাঁদের মধ্যে একাধিক নেতা বর্তমানে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। ফলে এবার ছাত্রলীগের অনেকেই রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের কথা বলছেন। তাঁরা অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটার বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর পাঁচজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দলের মধ্যে ভিন্নমত থাকতেই পারে। গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ এটি। তবে দল যদি এ বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয়, তখন সেটি সবাইকে মানতে হবে।’

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply