গ্রেপ্তার মিন্টু আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অর্থদাতা ও নির্দেশদাতা ছিলেন কি না, তা তদন্তে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান।
হারুন বলেন, শিমুল তার জবাবন্দিতে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের এক নেতার সঙ্গে তারা টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। সেখানে অর্থের বিষয়ে কথা হয়। দুই কোটি টাকা লেনদেনের কথা আসে।
শাহীনের পক্ষে কাজ করেন শিমুল, আর মিন্টুর পক্ষে কাজ করেন বাবু। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই আমরা কথাটি বলছি।
কিলার শিমুল ভূঁইয়া ও গ্যাস বাবুর জবানবন্দিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে মিন্টুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি অধিকাংশ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে, তাকে ব্যাপক আকারে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সে কারণে আমরা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করি। পরে মিন্টুকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ডিবিপ্রধান বলেন, মিন্টু কয়েকবারই কালীগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার চেষ্টা করেছেন, মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। শিমুলের জবাবন্দিতে যে টাকা লেনদেনের বিষয়টি এসেছে, সবই আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করব। টাকা লেনদেনের বিষয় সঠিক কি না, জানার চেষ্টা করব, তাহলেই আমরা ধরে নিতে পারব, মিন্টু অর্থদাতা বা নির্দেশদাতা কি না। আমরা সুস্পষ্ট অভিযোগ না পেলে কাউকে ডাকি না।
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রথমে জানান মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মিন্টুর বুদ্ধিতে মোবাইলগুলো মিন্টুর কাছে দিয়ে তিনি থানায় হারানোর জিডি করেন।
গ্যাস বাবু ও সাইদুল করিম মিন্টুকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। প্রয়োজনে আবারও শিমুল ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানান ডিবিপ্রধান।