সোমালি দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ আগামী সোমবার (১৩ মে) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ফেরার কথা রয়েছে। সেখানে পৌঁছার পর জাহাজ থেকে পাথর খালাস করা হবে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে। বন্দরে অবশিষ্ট পাথর খালাসের পর ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিক চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের বাড়িতে যাবেন।
এদিকে নাবিকদের অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের পরিবার-স্বজনরা। কখন তারা বাসায় ফিরবেন, সে প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন তারা। দুই মাস আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দীর্ঘ ৩৩ দিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার ১৬ দিন পর জাহাজটি দুবাইয়ে পৌঁছেছিল।
সেখানে কয়লা খালাসের পর গত ৩০ এপ্রিল দুবাই থেকে এমভি আবদুল্লাহ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।অবশেষে জাহাজটি সোমবার বিকেলে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছাবে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ’র মালিক চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে আগামী ১৩ মে এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া চ্যানেলে আসার পর সেখানে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হবে।
দুইদিন পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের পৌঁছাবে। জাহাজ থেকে অবশিষ্ট পাথর খালাস করা হবে। এরপর নাবিকরা চট্টগ্রাম আসবেন।
প্রসঙ্গত, এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়। ১৯ মার্চ আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
মাপুতু থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল।
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার দীর্ঘ ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল বিকেলে নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (পাথর) লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজ। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়।