বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে একই পরিবারের পাঁচজনের ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ছিল সোমবার ১৫ এপ্রিল। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তৎকালীন রংপুর জেলার সৈয়দপুরে রেলওয়ে সরকারি বাসভবনে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর বিহারিদের যৌথ পৈশাচিক ও বর্বরোচিত আক্রমণে ওই পাঁচজন শহীদ হন। তাঁরা হলেন প্রকৌশলী ফজলুর রহমান, তাঁর স্ত্রী হোসনে আক্তার (এনজিও প্রশিক্ষিকা) এবং বড় তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মজনু (কলেজছাত্র), হাসিনুর রহমান হিরন (স্কুলছাত্র) এবং আজিজুর রহমান বাবু (স্কুলছাত্র)।
প্রজন্ম ’৭১ (মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তান) সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই পাঁচজন শহীদসহ ৩০ লাখ শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একাত্তরে হোসনে আক্তারকে বেয়নেট চার্জ করে মাটিতে জীবন্ত পুঁতে ফেলে নরপশুরা। এই হত্যাযজ্ঞে আহত অবস্থায় বেঁচে যাওয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ছেলেকে পরে ঘাতক বিহারিরা হাসপাতালের পেছনে নিয়ে একটা গর্তে গলা কেটে হত্যা করে। আর অলৌকিকভাবে বেঁচে যান প্রজন্ম ’৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা (সভাপতি) ও চ্যানেল আই টিভির সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার সাইদুর রহমান এবং তাঁর দুই বোন দিলরুবা খাতুন (কাজল) ও মরহুমা ক্যামেলিয়া রহমান (কাঁকন)। ওই একই দিন এবং তার আগে ও পরে সৈয়দপুরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসর বিহারিরা অগণিত বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে।