আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রকার মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে চালু করা হয়েছে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা। সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলে বিস্তারিত নির্দেশনা জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থী যেকোনো স্থানে অবস্থান করে অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের নিমিত্ত অনলাইনে পছন্দসই প্রচলিত কার্যকর পদ্ধতিতে জামানত প্রদান করতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করে প্রার্থীর সময় বাঁচবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত সিস্টেমের লিঙ্ক- www.ecs.gov.bd নোটিশ বোর্ড ‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল’ অথবা onss.ecs.gov.bd -তে গিয়ে সরাসরি অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সিস্টেম এক্সেস করা যাবে।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পদ্ধতি : অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই এবং চেহারা সনাক্তকরণ করা হয়। রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হলে যে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেখানে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রেরণ করা হবে, যা সতর্কতার সাথে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রদত্ত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।
ড্যাশবোর্ডের সর্বডানে ‘প্রক্রিয়া’ অংশে ‘এডিট’ বাটনে ক্লিক করে বামপাশের মেনু হতে পর্যায়ক্রমে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর অংশ, প্রার্থী মনোনয়ন, প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি, প্রার্থীর হলফনামা ও প্রার্থীর ফাইল সংযুক্তিকরণ ধাপসমূহ এবং জামানত প্রদান সম্পন্ন করতে হবে।
চেহারা সনাক্তকরণ ও অনলাইনে জামানত প্রদানের বিষয়টির অন্তর্ভুক্তি ব্যতিরেকে প্রায় সমগ্র প্রক্রিয়াটিই ম্যানুয়াল/পূর্বতন পদ্ধতিতে হার্ডকপি ফরম এর অনুরূপ। চূড়ান্তভাবে দাখিল করার আগে পূরণকৃত মনোনয়নপত্র বারংবার পরীক্ষা করে প্রয়োজনে এডিট করতে হবে, সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে মোবাইলে বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অনলাইনে আবেদনকৃত প্রার্থীর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার, নিশ্চিতকরণ, যাচাই-বাছাই, আপিল, প্রার্থীতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিতপূর্বক যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করবেন। প্রদত্ত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে প্রার্থী যেকোন সময় তার দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের আপডেট জানতে পারবেন; পাশাপাশি মোবাইলে বার্তা প্রাপ্ত হবেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রার্থীর সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন ধাপে যাচিত এনআইডি নম্বর প্রদান করলে উক্ত এনআইডি’র বিপরীতে সংরক্ষিত তথ্যাদি প্রদর্শিত হয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরা চালু হয়ে প্রার্থীর ছবি ধারণ করা হয়।
ধারণকৃত ছবির সাথে ভোটার তালিকা ডেটাবেইজে সংরক্ষিত উক্ত ব্যক্তির ছবির সাথে মিলিয়ে ফেস রিকগনিশন সিস্টেম (এফআরএস) এর মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। একই পদ্ধতিতে নির্বাচনে প্রার্থীর প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারীর পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যতিত কোনো অবস্থাতেই সিস্টেমটি ব্যবহার করা যাবে না।
নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত প্রদানের জন্য অনলাইনে জামানত প্রদানের বিষয় অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষভাগে প্রার্থীকে জামানত প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম সিলেক্ট করে পছন্দসই প্রচলিত কার্যকর পদ্ধতি যেমন- মোবাইল ব্যাংকিং, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদির মাধ্যমে জামানত প্রদান করা যাবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকল পদে সকল মনোনয়নপত্র শুধুমাত্র অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাচন অফিসসমূহে যোগাযোগ করা যাবে। শেষ সময়ের অপেক্ষায় না থেকে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে অনলাইনে মনোনয়পত্র দাখিল নিশ্চিত করার জন্য সংশিস্নষ্ট প্রার্থীদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। প্রার্থীদের সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ফেসবুক পেজ বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন সচিবালয়ে দেখতে পাওয়া যাবে।