রাজধানীর মোহাম্মাদপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পাঁচটি কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে তাদের আটক করে র্যাব-২-এর পৃথক দল। পাঁচটি কিশোর গ্যাং হলো আক্তার গ্রুপ, মাসুম গ্যাং, পিনিক গ্রুপ, বাপ্পী গ্রুপ ও লিমন গ্রুপ।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক শিহাব করিম জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’য়ের সদস্যদের চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা হয়।
বিভিন্ন ‘কিশোর গ্যাং’য়ের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ করা যায়।
অতি সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডির আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পেয়ে র্যাব টহল ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, অ্যান্টি কাটার ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানমণ্ডি এলাকায় তারা চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। উল্লেখিত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, বেড়িবাঁধ, আদাবর, মোহাম্মদপুরসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
গ্রেপ্তাররা দিনের বেলায় গাড়ীর ড্রাইভার, হেলপার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা পেশার আড়ালে রাতের বেলায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করত বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং এ সকল মামলায় কেউ কেউ কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।