একটি বেলা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত উপকূলের দুঃখী কিন্তু সংগ্রামী মানুষের সঙ্গে কাটালেন বিশ্বের অন্যতম ‘সুখী দেশের’ রাজকুমারী। প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া মুগ্ধ হয়েছেন তাদের উদ্যম আর উদ্ভাবনী কুশলতায়। অন্যদিকে শুধু রূপকথার গল্পেই রাজকুমারীর কথা শোনা অতি সাধারণ মানুষগুলো সত্যিকারের এক রাজকন্যাকে পাশে পেয়ে আপ্লুত হয়েছে।
প্রায় চার ঘণ্টা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় জনপদ কয়রার মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর সম্ভাবনার কথা শুনলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
প্রিন্সেসের সফরের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়োহান ফরশেল প্রমুখ।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া চার দিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিন গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সেদিন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিও নিজের চোখে দেখেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর। কাল ২১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন প্রিন্সেস। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের প্রচারণাই রাজকন্যা ভিক্টোরিয়ার এ সফরের উদ্দেশ্য।