চার দিন ধরে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ বাংলাদেশি ২৩ নাবিক জিম্মি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ আবার বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জিম্মিকারীদের পক্ষ থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। বাংলাদেশি ২৩ নাবিক কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নাবিকদের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাঁদের জিম্মি করে রাখা সশস্ত্র জলদস্যুরা যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ করে রেখেছে। ওদের (জলদস্যু) সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পথ নেই। ওরা যদি যোগাযোগ করে, তাহলে নাবিকদের উদ্ধার নিয়ে আলোচনার পথ সৃষ্টি হবে। জিম্মিকারীদের যোগাযোগের অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে তারা (জলদস্যুরা) এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা করতে পারে। মুক্তিপণ আদায়ই জিম্মিকারীদের লক্ষ্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা যোগাযোগ করলে উদ্ধারপ্রক্রিয়া দ্রুত করা যেত।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালি জলদুস্যদের নিয়ন্ত্রণে যায়।
জিম্মি নাবিকদের একাধিক অডিও বার্তাসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাহাজটি সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূলে থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করার পর ১৯ জনের একটি নতুন দল জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা এখন বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে জিম্মি করে রেখেছে। জাহাজটি ছিনতাই করার সময় গত মঙ্গলবার তাদের যে অর্ধশতাধিক সশস্ত্র দল ছিল, তারা নোঙর করার পর সেখান থেকে চলে গেছে। জলদস্যুদের প্রথম দলটি অনেকটা হালকা অস্ত্র বহন করছিল। এখন যারা জিম্মি করে রেখেছে, তাদের সবার হাতে ভারী অস্ত্র।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদল্লাহ জলদস্যুর কবলে পড়ে। জিম্মিদশা থেকে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান তাঁর ভাই আবদুল্লাহ খান আসিফের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি অডিও বার্তা পাঠান এবং একই দিন সন্ধ্যায় জাহাজের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ তাঁর পরিবার এবং জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন বলে মিজানুল ইসলাম জানান।