আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কার্যকরে কোনো বাধা নেই। সরকারের সমালোচনায় সংসদে বিরোধী দল আছে, স্বতন্ত্ররাও আছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ কেন কার্যকর হবে না? বাধাটা কোথায়? এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হয়েছে।
যেখানে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে। পৃথিবীর বহু দেশেই ভোট গণনার দিক দিয়ে বাংলাদেশে ভোট গণনা কম হয়েছে, সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিয়েছে। একটা বিরোধী দলও আছে।
জাতীয় পার্টি সংসদের ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। সংসদে বিরোধী দল আছে, এমনকি স্বতন্ত্ররাও আছেন। যাঁরা প্রয়োজন মনে করলে সরকারের সমালোচনা করতে পারেন।’সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদে স্বতন্ত্ররা আছে, বিরোধী দল তো আছেই।
সংসদ কার্যকরে এখানে কোনো অন্তরায় নেই। আমরা সতর্ক আছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্রমূলক, সন্ত্রাসমূলক তৎপরতা করে সেটা অবশ্যই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করব।’
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন। আন্দোলন করতে জনগণ থাকতে হয়।
নেতাকর্মী দিয়ে হয় না। দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো ইস্যু নির্বাচনের আগেও ছিল না, এখনো নেই। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির ধারার কারণে তারা ভুল করেছে। দল চোরাবালিতে আটকে গেছে।’
বিএনপিকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ এবং বাকশাল-২ কায়েম করা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এ রকম কোনো চিন্তা করিনি। তারা নিজেরাই করছে। এ ছাড়া বিএনপিকে নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি আষাঢ়ে তর্জন-গর্জন মাত্র। আন্দোলনে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিএনপি মুখে যা বলেছে তা করে দেখাতে পারেনি। বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার কথা ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কেউ বললেও মূল আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এ ধরনের বক্তব্য দেননি।’
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলাসহ ১৩ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদে আগে দেখতে দিন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।