পুরো বিশ্বের চোখ এখন পাকিস্তানের দিকে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটের ফল প্রকাশে নজিরবিহীন দেরি হচ্ছে। এ ভোট নিয়ে ইতোমধ্যেই কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন এটি। অনিশ্চিত আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দেশটিকে আর্থিক সংকট ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।
এদিন খাইবার পাখতুনখোয়াতে ভয়াবহ হামলার ঘটনাও ঘটে। পাকিস্তানে ভোটার সংখ্যা ১২৮ মিলিয়ন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও দল মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮১৬ প্রার্থী জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি, পাঞ্জাব পরিষদের ২৯৬টি, সিন্ধ পরিষদের ১৩০টি, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ১১৩টি ও বেলুচিস্তানের ৫১টিসহ মোট ৮৫৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পিটিআই জিতেছে ৫৯ টি আসনে। প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে আছে নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজে (পিএমএল-এন)। দলটি পেয়েছে ৪২টি আসন। এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা জিতেছেন ৩২ আসনে। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত শতাধিক আসনে বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে।
অন্যদিকে ডন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একই সময় পর্যন্ত ৫০টির বেশি আসনে ফল ঘোষণার তথ্য পাওয়া গেছে। এতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৮ আসনে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজে (পিএমএল-এন) ১৬টিতে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ১৬টি আসনে জয়লাভ করেছে। চারটি আসনে জিতেছেন অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সূত্র: জিও নিউজ, ডন