এখনও পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজিবি জানায়, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনেকেই পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সীমান্তচৌকিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। গতকাল রবিবার মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে অন্তত তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছে।
ঝুঁকি এড়াতে সীমান্তবর্তী অন্তত সাতটি স্কুল এবং কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার অনেকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
গতকাল রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত মিয়ানমারের অন্তত ৬৮ জন সশস্ত্র বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছেন। আরো অনেকেই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে ঢুকেছে। তারা অস্ত্র হাতে ঢুকেছে, কিন্তু যুদ্ধ করতে আসেনি। তারা যুদ্ধপরিস্থিতিতে এসেছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মানে এই নয় যে গায়ের ওপর পড়লে ছেড়ে দেওয়া হবে।