নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নোবিপ্রবি অ্যালামনাই, চাকুরিজীবী, সাংবাদিক, অভিভাবকবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইকিউএসি ওই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম।
আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহদ হুসাইন।
সভায় আলোচনা করেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, আইকিউএসি পরিচালক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক এবং নোবিপ্রবি প্রক্টর ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স (আইআইএস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।
সভায় প্রধান অতিথি মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আট হাজার শিক্ষার্থী, এক হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। আমরা সকলে একে অপরের তথা নোবিপ্রবির অংশীজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও একাডেমিক উন্নয়ন অধিকতর এগিয়ে নেয়ার জন্য সকল কাজে অংশীজনদেরই অংশগ্রহণ সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এ সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চলমান রেখেছি। সরকারী সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও একনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্রত নিয়ে এসেছি। আমার ব্যক্তিগত কোনো অভিযোগ, ক্ষোভ, হিংসা-প্রতিহিংসা নেই। আমি শতভাগ কর্মনিষ্ঠতা ও সততা দিয়ে নোবিপ্রবির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে চাই। পাশাপাশি যদি ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই সবার শতভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে ব্যয় করে তাহলেই কেবল বিদ্যমান সমস্যার পরিত্রাণ সম্ভব। তাই অংশীজনদের সকলকে নিজের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে সচেতন হতে হবে, নিজের করণীয়টা সঠিক সময়ে সুচারুভাবে করতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বিশেষ অতিথির আলোচনায় মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়দিকের সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধানযোগ্য, সমাধান নেই এমন নয়। তবে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যার সমাধানে ইউজিসি, মন্ত্রণালয় ও সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। আমরা ধারাবাহিকভাবে সহযোগীতা পাই, তবে অংশীজনদেরও সময় নিয়ে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাই। সেক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনদের নিয়ে এধরনের সভা কার্যকর ভূমিকা রাখে, আজকের মতবিনিময়ের লক্ষ্যও তাই।
এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সকলকে সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান, নকলরোধ, পরীক্ষা পদ্ধতি, অবকাঠামো ও যানবাহন সুবিধা বিষয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে। অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরাও বিভিন্ন মতামত তুলে ধরার পাশাপাশি অংশীজনদের নিয়ে এ ধরনের সভার আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।