আজ ২৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছর পূর্তি হচ্ছে। আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু হবে নতুন সংসদের। একাদশ সংসদের কার্যদিবস কম হলেও সর্বোচ্চসংখ্যক ২৫টি অধিবেশন বসেছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সংসদে সক্রিয় থাকায় সংসদ বর্জনের সংস্কৃতির অবসান হয়েছে।
বেসরকারি বিল ও মুলতবি প্রস্তাব উপেক্ষিত
এই সংসদে নিয়ম মেনে সরকারি বিল পাস হলেও কোনো বেসরকারি বিল পাস হয়নি। এসংক্রান্ত কমিটি নিয়মিত বৈঠকও করেনি। আর সংসদের কাজ স্থগিত রেখে সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য মুলতবি প্রস্তাব আনার বিধান থাকলেও জাতীয় সংসদে কোনো মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি।
জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনা স্থগিত
একাদশ সংসদে বেশির ভাগ সময় জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের ওপর আলোচনা স্থগিত রাখা হয়। এ ছাড়া কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারা অনুযায়ী, জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব (প্রস্তাব সাধারণ) আনা যায়। এই আলোচনাও খুব বেশি হয়নি। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ জাতিকে জানাতে এই বিধিতে একটি প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। এটি নিয়ে আলোচনা হয়, যা ছিল ব্যতিক্রম।
রেকর্ডসংখ্যক এমপির মৃত্যু
একাদশ সংসদের মেয়াদে ৩১ জন এমপির মৃত্যু ঘটেছে, তাই উপনির্বাচনের বেলায়ও চলতি সংসদে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের কোনো সংসদের বেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি। বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ বরেণ্য সংসদ সদস্যরা মৃত্যুবরণ করেন।
একাদশ সংসদের বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, আগের মতো এই সংসদে বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের ঘটনা ঘটেনি। ওয়াক আউটের ঘটনা ছিল খুবই কম। বিরোধীদলীয় সদস্যরা বাধাহীনভাবে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, সংসদকে কার্যকর করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। অতীতের মতো সংসদ বর্জনের পরিবর্তে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতে সব সময় সোচ্চার ছিলেন।