ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেট স্কুল এর নাম পরিবর্তন করে অনির্বাণ ক্যাডেট স্কুল নামে পরিচালনা করছে পরিচালক এস এম মুন্না। আবার তিনি প্রতারণা করে লিখেছেন বিশেষ দ্রষ্টব্য অনির্বানের কোন শাখা নেই, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি কি নামে চলছে, তার কি রেজিস্ট্রেশন, আর শিক্ষা অধিদপ্তরের কি অনুমোদন আছে। তিনি পৌরসভা থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে মনগড়া নাম দিয়ে এই ক্যাডেট স্কুল পরিচালনা করে যাচ্ছেন। মূলত এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে অনির্বাণ প্রি ক্যাডেট স্কুল নামে পরিচালক বিনয় কুমার বিশ্বাস এইচ এস,এস, রোড কাঞ্চননগর, ঝিনাইদহ পরিচালনা করতেন। কিন্তু তিনি নানা কারণে, প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। যার ফলশ্রুতিতে এই এস, এম মুন্না তখন এই ক্যাডট স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তিনি কায়দা করে সুকৌশলে বিনয় বাবুর কাছ থেকে অনির্বাণ প্রি ক্যাডেট স্কুলটি নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেন। নিয়ে চালাকি করে অনির্বাণ ক্যাডেট স্কুল নাম দিয়ে চালাচ্ছে, আবার ব্যানারে লিখছেন অনির্বানের সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এই মহা ভেলকিবাজির মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা কথা বলতে আসলে তিনি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন, দৈনিক বীর জনতা, ও এপি বাংলার সাংবাদিকরা এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সুকৌশলে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান এবং উপর মহলে তার হাত আছে বলে হুমকি প্রদান করেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি প্রতিষ্ঠান নতুন নামে দাঁড় করাতে হলে অবশ্যই শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তার অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু তিনি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে পূর্বের নামের রেজিস্ট্রেশন ও স্কুলের অনুমোদন দিয়েই সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, যা বিষয়টি সচেতন মহলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। আইন সবার জন্য সমান,আইনের ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নই। তাহলে তিনি কোন ক্ষমতা বলে এই অনির্বাণ প্রি ক্যাডেট স্কুল এর নাম পরিবর্তন করে তার নিজের ইচ্ছামতো মনগড়া অনির্বাণ ক্যাডেট স্কুল দিল। তিনি বলছেন, অনির্বাণের কোন শাখা নেই, তাহলে কি হল যে লাউ সেই কদু, তাই সুশীল সমাজ এই স্কুলটি বন্ধ সহ তার বিরুদ্ধে প্রতারণার শাস্তি মূলক হিসেবে আইনের কাঠগড়ায় নেওয়ার জন্য সকলেই দাবি রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানটি যদি পরিচালনা করতেই হয় নতুন নামে হয় তাহলে নতুন নামে রেজিস্ট্রেশন থাকা দরকার বলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান। এভাবে হ য ব র ল ভাবে হবে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে অনেকেই অভিমত দিয়েছেন। অনেকেই আরো বলেছেন, এই যদি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতি তাহলে জাতি আশার আলো কিভাবে দেখবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যে স্মার্ট বাংলাদেশ এই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি হিসাবে আজকের শিশুরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, কিন্তু শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ যদি জাল জালিয়াতি, তাহলে জাতি আশার আলো দেখবে কিভাবে, অনেকেই মতামত দেন এর একটি বিহিত হওয়া দরকার কেন এই প্রতারণা সুশীল সমাজ এটা জানতে চায়। সাধারণ জনগনের মুখে এই একই কথা, আমরা পূর্বে দেখেছি এক নাম এখন আবার দেখছে আর এক নাম কেন এর পরিবর্তন আর এর সত্যতা বা কোথায়। একটি ক্যাডেট স্কুল মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করে থাকে, এবং সেখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শিক্ষকরা, সেই শিক্ষকরা যদি করে প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, তাহলে প্রতিষ্ঠানের সুনামের বিপরীতে খারাপ দিকটি ফুটে ওঠে বলে সকলেই ধারণা পোষণ করেছেন। তাই অনতিবিলম্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকলেই জোর দাবি জানিয়েছেন।