চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারকচক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন র্যাব-১০-এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
গ্রেপ্তার করা চারজন হলেন চক্রের মূলহোতা ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিক্রেতা এম এ হক আলম ফরহাদী, মেহেরাব হোসেন, মো. রাসেল হোসাইন ও শাহাদাত হোসেন।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে অন্তত ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী এতে আবেদন করে জানিয়ে র্যাব-১০-এর পরিচালক বলেন, এর মধ্যে বাছাই করে ১৭০ জনকে চাকরির ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়।
এভাবে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল চক্রটি।
ভুক্তভোগী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করতে তাঁর তিন সন্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিতেন।
গ্রেপ্তার মেহেরাব হোসেন সম্পর্কে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চাকরির খোঁজ করতে ফরহাদীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভনে এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন মেহেরাব।
গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন পড়ালেখা শেষ করে বেকার ছিলেন। এর আগে কয়েক মাস একটি এয়ার টিকিটিং কম্পানিতে চাকরি করেছেন। সহকর্মীর মাধ্যমে ফরহাদীর সঙ্গে পরিচয় হলে চক্রে যোগ দিয়ে রিজার্ভেশন অফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
গ্রেপ্তার রাসেল হোসাইন পড়াশোনা শেষে চাকরি খুঁজতে গিয়ে ফরহাদীর সঙ্গে পরিচয়। পরবর্তী সময় ফরহাদীর নতুন অফিসের অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।