দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলই আবার ক্ষমতায় আসবে বলে ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে মূল্যায়ন করেছে। ‘শেখ হাসিনা’স পার্টি ইজ সেট টু বি রি-ইলেক্টেড ইন জানুয়ারি’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে পঞ্চম দফা শুরু করতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে সন্দেহের খুব একটা অবকাশ নেই।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের দাবি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র বিএনপিই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম। বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারত না দলটি।
পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তাঁর দেশেই জীবনযাত্রার মান সবচেয়ে উন্নত হয়েছে। এ ছাড়া ভারত ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বার্থও মুনশিয়ানার সঙ্গে সামলেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়, একই সময় ৭৬ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী দেশের গণতন্ত্রকে চাপে রেখেছেন।
বাংলাদেশের প্রধান আঞ্চলিক অংশীদার ভারত এই নির্বাচনকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হুমকি দিয়েছে। তবে শেখ হাসিনাকে চীনের দিকে ঠেলে দিতে ভারতের মতো যুক্তরাষ্ট্রও ভয় পায়। এ জন্য কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে চায় ওয়াশিংটন। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেবল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ দল পাঠানোর অস্বীকৃতি জানানোর মধ্যেই প্রতিক্রিয়া সীমিত রেখেছে।