গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের বারেন্ডা এলাকায় ফাতেমা নামক এক নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর যাবত ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে দুলাল মন্ডল এর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৭-১২-২০২৩) ভুক্তভোগী ফাতেমা নিজে বাদী হয়ে একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মন্ডল এর বিরুদ্ধে কাশিমপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ফাতেমা জানায়, জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে দুলাল মন্ডলের নিকট গেলে, দুলাল মন্ডল এর সাথে ফাতেমার একটি সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দুলাল মন্ডল দীর্ঘ দুই বছর যাবত ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ১৩-০৮-২০২৩ রাতে ফাতেমার পৈতিৃক বাসস্থানে দুলাল মন্ডল তার সাথে সময় কাটায়। এ সময় ফাতেমা বিয়ের কথা বললে, দুলাল মন্ডল পূর্বের সকল বিষয় অস্বীকার করে।
পরে ফাতেমা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু পরিবারের সাথে আলোচনা করে গত ৪-১২-২০২৩ সোমবার স্বামীর স্বীকৃতি ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে কাশিমপুর থানায় মামলা করার জন্য আসেন ফাতেমা। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন মোল্লা ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুলা অভিযুক্ত দুলাল মন্ডল এর পক্ষ হয়ে সামাজিকভাবে মীমাংসা ও সুষ্ঠু বিচার করে দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাশিমপুর থানা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে যান। ৬ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১০টার সময় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা এবং ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলা সহ আমাদের লোকদের নিয়ে সামাজিক সমাধানের জন্য বসে। তবে বিচার বসলেও ফাতেমাকে দুলাল মন্ডলের স্ত্রীর স্বীকৃতির বিষয়ে আলোচনা না করে তার ইজ্জত হরণের বিষয়ে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য বলেন ফাতেমা ও তার পরিবারকে। কিন্তু ফাতেমা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করতে না চাওয়া এবং স্বামীর স্বীকৃতি চাওয়ায় বিচারের কোন সমাধান করতে পারেনি সামাজিক বিচারক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ। পরে পুণরায় কাশিমপুর থানার দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী ফাতেমা ও তার পরিবার। এ সময় ফাতেমা বলেন, আমি টাকা পয়সা চাই না।
মান ইজ্জতের ক্ষতি টাকা পয়সা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। আমি শুধু আমার ইজ্জত চাই। দুলাল মন্ডল আমাকে বিয়ের কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর ধর্ষণ করেছে। আমি তার স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই এবং সমাজে বাঁচতে চাই। পূর্বেও আমাকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করেছে সে ডকুমেন্টস কাবিননামা কাগজপত্র সবকিছু দুলাল মন্ডলের কাছে আছে। ফাতেমা আরও বলেন, দুলাল মন্ডল আমাকে যদি বিয়ে না করে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই যেহেতু এলাকাবাসী সবাই বিষয়গুলো জানে তাই আমি দুলাল মন্ডল এর স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন তিনি একজন মা। আমি একজন মেয়ে তাই আমার সঠিক বিচার আমি যেন পাই। এই বলে তিনি সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান।