ঝিনাইদহে নৌকার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, শিল্পপতি নজরুল ইসলাম দুলাল ও সাইদুল করিম মিন্টুর মনোনয়নপত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ জমে উঠেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪ আসনে সর্বমোট ৩৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল রবিবার জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ৪ টি আসনে ৩৪ জনের মধ্যে ১৩ জন স্বতন্ত্র ও অন্যরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমুল বিএনপি ও জাকের পার্টির দলীয় প্রার্থী। নির্বাচন অফিসার জানান, ঝিনাইদহ- ১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির মনিকা আলম, স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম, তৃণমুল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মজুমদার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু বকর, স্বতন্ত্র মুনিয়া আফরিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিছুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিহাবুজ্জামান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত তাহজীব আলম সিদ্দিকী, স্বতন্ত্র নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, জাসদ সমর্থিত ফজলুল কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহফুজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, তৃণমুল বিএনপির জামিরুল ইসলাম, বিএসপি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শরীফ মোহাম্মদ বুলবুল হায়দার, এনপিপির মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল হান্নান খাঁ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সমর্থিত খোন্দকার হাফিজুর রহমান ফারুক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল স্বতন্ত্র, আব্দুর রহমান জাতীয় পার্টি, সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ স্বতন্ত্র, টি এম আজিবর রহমান স্বতন্ত্র, জাকের পার্টির বাবুল হোসেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত সালাহ উদ্দিন মিয়াজী ও নাজিম উদ্দিন স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ, জাকের পার্টির ইসাহাক আলী বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু, স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম, ও তৃণমুল বিএনপির নুর উদ্দিন আহম্মেদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ঝিনাইদহ-২ ও ঝিনাইদহ ৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।