আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটিকে স্বাগত জানিয়ে সারা দেশে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছে তারা। বৈঠক থেকে কর্মসূচি সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির ৪৮ ঘণ্টা অবরোধে সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আরো বেশি সতর্ক অবস্থায় ও সতর্ক পাহারায় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার বিকেলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইভেলি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানাতে বড় তিন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ করেছেন।
পরে পিটার হাস জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
এ সময় কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছিলেন, দলীয় কার্যালয়ে এই ইস্যুতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈঠকের পর দলের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির বিপরীতে দলের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর চিঠির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে দলের পক্ষ থেকে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র বলছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো চিঠি পায়নি। যেহেতু চিঠি পাওয়া যায়নি তাই আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।
গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চিঠি পাওয়ার বিষয়ে এখনো আমি কিছু জানি না। দলে এ নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। চিঠির বিপরীতে কিছু বলার থাকলে সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে।’
ভারতের সঙ্গে বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য গত শুক্রবার নয়াদিল্লি এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। ওই বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান জানায় যুক্তরাষ্ট্রকে এবং পরে তা প্রকাশও করে।