দ্রুত নগরায়ণ ও জীবনযাপনের ধরন বদলে যাওয়ায় দিন দিন ডায়াবেটিক রোগী বাড়ছে। দেশে মোট জনসংখ্যার ১০.৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। এদের ৯২ শতাংশ রোগটি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এতে সংক্রামক ও অসংক্রামক দুটি রোগেই মৃত্যু বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস সামনে রেখে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ও বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব তথ্য দেন।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, দ্রুত নগরায়ণ ও জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তনের কারণে দিন দিন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
হৃদরোগ। হৃদরোগীদের ৮০ শতাংশই ডায়াবেটিসের কারণে মারা যায় এবং ৫০ শতাংশ হৃদরোগ হয়ে থাকে ডায়াবেটিসের কারণে। ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয় ডায়াবেটিসের কারণে। এ ছাড়া অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিক রোগীর ২৯ শতাংশ রেটিনোপ্যাথিতে ভুগছে। ডায়াবেটিসের কারণে প্রজননক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ডায়াবেটিস হওয়ার পর যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে রক্তের শিরায় এক ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তের সরবরাহ কমে যায়। তখন কিডনি ফেইলিওর হয়, রক্তের চর্বি, স্ট্রোক, হৃদরোগসহ শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে। এর কারণ হলো, শিশুটি জন্মের সময় আড়াই কেজির কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। অপুষ্টিতে ভোগা মায়েরা সুস্থ-সবল শিশুর জন্ম দিতে পারছেন না। এ জন্য যাঁরা মা হবেন, তাঁদের প্রতি আলাদা যত্ন ও পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে।