ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি সার্জন বিশেষজ্ঞ,ডাক্তার আলাউদ্দিন আল আজাদ ও মারফিয়া ডাক্তার নামের একজন সিজার ব্যাবসায়ী ও পাক্কা কসাই। তাহলে একটা ঘটনা বলি কোটচাঁদপুর জয়দিয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের স্ত্রী নীলা খাতুন নামের একজন গর্ভবতী মহিলা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বাচ্চা প্রসব হওয়ার জন্য ভর্তি হয়। ভর্তি হবার পরে,
ডাক্তার মার্ফিয়া তাকে রক্তের হিমোগ্লোবিন ও বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দেন। দুটো টেস্ট সমতা থেকে করানো হয়।
এর মধ্যে একটা টেস্ট দেন সেই টেস্ট ঝিনাইদহ না থাকায় ঢাকা থেকে হয়ে আসতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তাহলে ভাবুন সেটা কি টেস্ট। এরপর রোগী যথানিয়ম মেনে হাসাপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকে। কিন্তু পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তার রোগীর কোন সমস্যার কথা না শুনেই ফরিদপুর বা ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে দেয়। রোগী হয়রানি এড়াতে তাঁর আত্মীয় হিসাবে একজন সাংবাদিককে ফোন দেয়। রোগীর আত্মীয়রা ডাক্তার আলাউদ্দিন আর মার্ফিয়ার কাছে অনুরোধ করে বলে দেখুন রোগীর অবস্থা বেশি ভালো না আপনারা রক্ত দিতে বলেছেন আমরা ৩ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করেছি। আপনারা চেষ্টা করে এখানে সিজার করে দেন। নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব।
ডাক্তার আলাউদ্দিন বললেন, রোগীর প্রেশার বেশি আর রক্তের হিমোগ্লোবিন কম এখানে আইসিইউ নেই হবেনা নানা তাল-বাহানা।
সে বলেন, আপনি ঢাকা অথবা ফরিদপুর নিয়ে যান। তখন হাসপাতালের সুপার রেজাউল ইসলামকে অনুরোধ করে রোগী রেখে দিই। রোগী স্বাভাবিক হতে থাকে আস্তে আস্তে। সন্ধ্যার পরে রোগীর নরমাল ডেলিভারি ব্যাথা ওঠে। কোন উপায় না পেয়ে স্বজনরা সুপারকে ফোন করে সুপার বলে আপনারা আলাউদ্দীন সাহেবের সাথে কথা বলেন।
তখন সাংবাদিক রবি,সমাজকর্মী জয় আরো অন্যান্য সাংবাদিক মিলে আবারও প্রিন্স হাসপাতালে গিয়ে আলাউদ্দিনের সাথে কথা বলে। সেখানে আলাউদ্দিন ভয় দেখান এখানে সম্ভবইনা। রোগীর সমস্যা হতে পারে। এরপর রোগীকে স্বজনরা বাধ্য হয়ে যশোর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আল্লাহর কি অশেষ রহমত সেখানে গিয়ে নরমাল ডেলিভারি হলো। কি আশ্চর্য ঘটনা আল্লাহর কি রহমত। অথচ কসাই আলাউদ্দিন আর মারফিয়া রোগীকে কোন কারণ ছাড়াই রেফার্ড করলো।
রোগীর প্রতি তাদের কোন পেশাদারিত্ব মনোভব দেখা গেল না। বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা যায়, আলাউদ্দিন ডাক্তারের এরকম শতশত অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ছে প্রতিদিন। আরো জানা যায়, ডাক্তার আলাউদ্দিন ডেলিভারি রোগীর সমান্য কিছু হলেই বিভিন্ন সমস্যার ভয় দেখিয়ে তিনি ক্লিনিকে সিজার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া আলাউদ্দিন রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে খুবই বেপরোয়া খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। নিজের পছন্দ মতো ক্লিনিকে রোগী সিজার না করাতে পারলে সে রোগী কোন কারণ ছাড়াই নানা অজুহাত দেখিয়ে রোগী রেফার্ড করে দেন ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা সহ বিভিন্ন মেডিকেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায় ডাক্তার আলাউদ্দিন প্রভাবশালী ক্লিনিক মালিকের ছত্রছায়ায় এসব সিজার বাণিজ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
আলাউদ্দিনের প্রভাবে কোন গাইনি ডাক্তার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থায়ী হতে পারে না। ডাক্তার আলাউদ্দিনের ক্লিনিক সিজার আর রেফার্ড বাণিজ্যের কারণে ঝিনাইদহের অনেক গরীব অসহায় রোগীরা অর্থনৈতিক ও শারীরিক মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানান অনেক ভুক্তভোগী। ডাক্তার আলাউদ্দিনের মতো এরকম টাকা লোভী ডাক্তারের বিরুদ্ধে,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মতামত দেন সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের গাইনি সার্জন ডাক্তার আলাউদ্দিন আর মারফিয়ায় কাছে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেবার পরেও ফোন রিসিভ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সাধারণ জনগণের দাবি। এরকম কসাই ডাক্তার ঝিনাইদহের মানুষ চায়না, তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ সিজার বাণিজ্য করে নিজে এবং ক্লিনিক মালিক কে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ, যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে তাদের, দেখার এবং বলার কেউ নেই, বললেই বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকির শিকার হতে হয় সাংবাদিকদের। সাধারণ জনগণের দাবি, এদের ঝিনাইদহ থেকে প্রত্যাহার করে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।