গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর জেলা টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল (ভুমি) অফিসে ই-নামজারী জমাখারিজে অনলাইনে সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সাধারণ জনগণ। গাজীপুর জেলা টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী ভুমি কমিশনার তামান্না রাহমান জ্যোতি বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নের সর্বাগ্রে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসক, গাজীপুর আবুল ফাতে মো: সফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাজীপুর সদর সৈয়দ মোরাদ আলীর প্রত্যক্ষ্ তত্বাবধানে উপজেলা ভূমি অফিস গাজীপুর সদর ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা বিনা হয়রানিতে জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গত ১ বছরের আগে নামজারীর গড় নিষ্পতি করা হতো ৯৩ দিনে , বর্তমানে তা কমিয়ে ২৮ দিনের মধ্যে ই-নামজারী সম্পন্ন করা হয় । গত ১ বছরে মোট মিস কেসের সংখ্যা ৭০০/৭৫০ থেকে নামিয়ে বর্তমানে ৩০০/৩৫০ নেওয়া হয়েছে। মিসকেস, সীমানা নির্ধারণী, মামলা, করণিক ভুল সংশোধনের মামলা, দেওয়ানী আদালতের আদেশ মোতাবেক রেকর্ড সংশোধনের মামলা সহ অন্যান্য বিবিধ মামলা সুচারুভাবে নিষ্পত্তির জন্য সপ্তাহে ২ দিন শুনানী গ্রহণ করা হয়। গতমাসে মোট ৬৫/৭০ জন ব্যক্তির শুনানী গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে গাজীপুর টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসের আওতায় থাকা সাধারণ জনগণের ভূমি সংক্রান্ত সেবা সহজীকরণে এবং জনগণের আস্থা অর্জনে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল (ভূমি) সহকারী কমিশনার অফিস, গাজীপুর টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল(ভুমি) এর প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবিষয় গাজীপুর জেলা টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিসে ই-সেবা নামজারী সেবা নিতে আসা গ্রাহক সুরাবাড়ি ভুমি এলাকার মনোয়ারা আক্তার মনি এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হয়। তিনি জানান, তার নিজের নামজারী নং ৫৭০১-২৩-২৪ জমাখারিজের শুনানীর জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় হতে ফোন পেয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণের জন্য টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল (ভুমি) যান এবং তিনি বলেন, শুনানীতে অংশগ্রহণের জন্য অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করেছেন। টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের টঙ্গী ভাকরাল এলাকার সৈয়দ হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, তার নিজ নামীয় নামজারী নং ৫০৫৮-২৩-২৪ ও গাছার কলমেশ্বর এলাকার মোঃ হান্নান সরকারের নিজ নামীয় নামজারী নং ৩৫০৯-২৩-২৪ জমাখারিজের শুনানীতে অংশগ্রহণের জন্য ভূমি অফিসে এসেছেন, নামজারী জমাখারিজ করতে কোন হয়রানির শিকার হয়েছেন কি না, জিজ্ঞেস করলে তিনি সকালবেলা’র প্রতিবেদককে বলেন ই-নামজারী আবেদন করতে পারলেই আবেদন কোথায় কার কাছে পেন্ডিং রয়েছে তা জানা যায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় হতে ফোন কল এর মাধ্যমে শুনানীতে অংশগ্রনের জন্য জানিয়ে দেন। আমি শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছি। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সহযোগিতা পেয়েছি। অফিসে আগত লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নামজারী অনুমোদনের পরেই আবেদনের উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে ম্যাসেজ চলে যায় এবং অনলাইন থেকে সরকারী ফি জমা দিয়ে ডিসিআর গ্রহণ করা যায়। ভূমি অফিসে আর্থিক কোন লেনদেন হয় না। ভূমি অফিস ঘুরে দেখা গেল ভূমি অফিসে কোন সেবা কি ভাবে গ্রহণ করতে হয় তা রঙ্গিন লিফলেট ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার ভূমি কক্ষের প্রবেশ পথে দেখা যায়, প্রত্যেক রবিবারে জনসাধারণের সাক্ষৎকার, সোম, মঙ্গল, বুধবার, মিস কেসের শুনানী ও নামজারী আপত্তি শুনানী বৃস্পতিবার, সীমানা নির্ধারনের শুনানীর বোর্ডে প্রদর্শিত রয়েছে। মিস কেসের শুনানীতে অংশগ্রহণকারীগণ জানান, বিগত করোনার সময়ে শুনানী গ্রহণ না হওয়াতে অনেক মিস কেস পেন্ডিং ছিলো। বর্তমান টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের (ভুমি) সহকারী কমিশনার তামান্না রাহমান জ্যোতি দ্রুত রায় প্রদান করছেন। ভূমি অফিস মারফত জানা যায় প্রভাবশালী মহলের অবৈধ দখল হতে সরকারী খাস জমি উদ্ধার, পাবলিক ইজমেন্ট আছে এমন ভূমি হতে অবৈধ দখল অপসারণ, অর্পিত সম্পত্তির একসনা ইজারা ফি আদায়, হাট বাজারের চান্দিনা ভিটি হতে একসনা ইজারা ফি আদায় করেন। জনসাধারণকে দ্রুততার সাথে সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
নিচে ই-সেবা নামজারীর আবেদন কি ভাবে করবেন তা তুলে ধরা হলো:-
নিজের ই-নামজারী আবেদন নিজেই কিভাবে করব ?
নিচের ধাপগুলো অনুসরন করতে বলা হয়:-
land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-নামজারী নির্বাচন করুন, নামজারী আবেদন অপশনটি নির্বাচন করুন।
ঘোষনা অংশের নির্ভুল তথ্য দিন, জমির তফসিল ও গ্রহীতার তথ্য দিন, আবেদন গৃহীত হলে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে land.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-নামজারী নির্বাচন করুন, আবেদন জমা প্রদানের জন্য ৭০ টাকা জমা দিন, বিকাশ পেমেন্ট করুন। পেমেন্ট অপশনে ইন্টারনেট ব্যাংকিং অপশন নির্বাচন করুন, দাতার তথ্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন, আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অপশনটি নির্বাচন করুন। আবেদন নাম্বারসহ প্রয়োজনীয় চাহিত তথ্যদিন, যার কাছে বর্তমান আবেদনটি আছে তার নাম ও ফোন নাম্বার পাবেন, খসড়া খতিয়ানটি দেখতে পাবেন, খসড়া খতিয়ানে কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের জন্য “খতিয়ানে করণিক ভূল সংশোধন” অপশনটি নির্বাচন করুন। ১১০০ টাকা ডিসিআর ফি পরিশোধ করুন। আপনার সুবিধাজনক পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করুন যেমন (বিকাশ, রকেট, নগদ,উপায়) ইন্টারনেট ব্যাংকিং অপশনটি নির্বাচন করে অগ্রসর বাটনে ক্লিক করুন। কি সংশোধন করতে চান তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা লিখুন এবং দালিলিক প্রমাণ সংযুক্ত করুন খতিয়ানটি সঠিক থাকলে এবং আবেদন মঞ্জুর হওয়ার মেসেজ পেলে ডিসিআর ফি আপশনটি নির্বাচন করুন৷
অনলাইনে নিজের ভূমি উন্নয়ন কর নিজেই কিভাবে দিব ? নিচের ধাপ সমূহ অনুসরন করুন।
ধাপ ১: ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্টার
ধাপ ২: প্রোফাইল সেটিং ধাপ ৩: খতিয়ান আপলোড করুন ধাপ ৪: হোল্ডিং ও ভূমি উন্নযন করের তথ্য
ধাপ ৫: খাজনা রশিদ ডাউনলোড ধাপ ৬: ই-পেমেন্ট করুন বিকাশে ধাপ ৭: অনলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট পেমেন্ট।