ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহর জুড়ে যেদিকেই চোখ যায় প্রায় প্রতিটি বাড়ীর ও প্রায় সবখানেই মেয়র মহোদয় সবুজ ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সৌজন্যে জাহেদী ফাউন্ডেশন। এই ময়লাগুলো সংগ্রহ করতে পৌরসভার নিজস্ব গাড়ী আছে হাতেগোনা ২/৩ টা যা দিয়ে পুরো পৌরসভার ময়লা কালেকশন করা অসম্ভব। তাই মেয়র মহোদয় নিজের ইট ভাটার কাজ বাদ রেখে তাঁর নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কিংশুক ব্রিক্স ভাটার প্রায় ১৬ টা গাড়ী দিয়ে গত ১১ মাস পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ময়লা সংগ্রহ করাচ্ছেন। সেই গাড়ীগুলোর তেল ও ড্রাইভারের বেতনসহ সকল খরচ মেয়র মহোদয় নিজের টাকায় বহন করেন, এছাড়াও প্রায় ৩২ টি ছোট মটর চালিত ভ্যান জাহেদী ফাউন্ডেশন থেকে দিয়েছেন অলিগলির ভিতর থেকে প্রতিদিন ময়লা সংগ্রহ করার জন্য। সেই ভ্যান চালকসহ আনুষঙ্গিক সকল খরচই মেয়র মহোদয় বহন করেন। প্রতিদিন ফজরের আজানের আগ থেকে এই শহর ঝাড়ু দেওয়ার জন্য ৩৫ জন মহিলা কাজ করান মেয়র মহোদয়। প্রতিদিন এই শহরে প্রায় ৪২ জন লেবার কাজ করছেন গত ১১ মাস ধরে ড্রেন পরিস্কার করার জন্য। এছাড়াও প্রায় ৫৬ জন লোককে জাহেদী ফাউন্ডেশন থেকে বেতন দিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন কাজ করাচ্ছেন পৌরসভার জনবলের অভাবজনিত কারণে। শুধু পৌরসভাতেই নয় এমন শতশত জনবল দেশের বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে দিয়ে আসছেন মেয়র মহোদয়। ঝিনাইদহে যেমন সদর হাসপাতালে, কোর্টচাদপুর হাসপাতাল, মহেশপুর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, শিশু হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন সেবামুলক প্রতিষ্ঠানে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত সিষ্টেমে আনতে লন্ডনের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করছেন। যেখানে ৭/৮ জন প্রতিদিন পাড়ায় মহল্লায় গিয়ে অর্গানিক নন অর্গানিক বর্জ্য আলাদা করার সিষ্টেমের আওতায় আনার জন্য কাজ করছেন যা থেকে জৈবসার ও জ্বালানি গ্যাস তৈরি করা হবে। পৌরসভার প্রতিটি জায়গা থেকে মানববর্জ্য পৌরসভার ভ্যাকুট্যাগে সংগ্রহ করার জন্য অত্যাধুনিক ম্যানেজমেন্টের আওতায় আনা হয়েছে। এই শহরকে চকচকে ঝকঝকে একটা নগরী গড়ে তুলতে মেয়র মহোদয়ের আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও নিরলস পরিশ্রম সত্যিই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সর্বত্রই। এভাবেই মেয়র মহোদয় তিলোত্তমা নগরী দিবেন এমনটাই প্রত্যশা। এডিস ও মশা নিবারণে মেয়র মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় মশা নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ঝিনাইদাহ পৌরসভাকে একটি আধুনিক স্মার্ট নগরী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য দিন রাত নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন মেয়র মহোদয়। সে কারণে পৌরসভার মানুষের কাছে আস্থা এবং ভালোবাসার ঠিকানা, নগরপিতা কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে পৌরবাসীর কাছে।