নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী উত্তর ফকিরপুর মৌজার মরহুম আবদুল হাই সাহেবের দৌতলা ভবন সহ ৬ শতাংশ সম্পত্তি সফিকুর রহমানের কাছ থেকে ৩৮৮৬ নং সাফ কবলা দলিল মূলে আবু নাঈম বাপ্পি গত ২৯/১২/২০১১ সালে ১৫৪২৭ নং সাফ কবলা দলিল মূলে দৌতলা ভবনসহ খরিদ করেন। উক্ত সম্পত্তি জমাখারিজ খতিয়ান, হাল খতিয়ান, পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স, গ্যাস সংযোগ, ২টি বিদ্যুৎ সংযোগ সহ যাবতীয় কাগজপত্র আবু নাঈম বাপ্পির নামে। কিন্তু প্রতিপক্ষ বিনা অজুহাতে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা, হামলা সহ নানা হয়রানি করে আসছে। আবু নাঈম বাপ্পি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, মৃত্যুকালে তার পিতা ১ম ঘরে ২ ছেলে, ৭ মেয়ে রেখে যান এবং ২য় ঘরে ২ ছেলে, ২ মেয়ে রেখে যান। তাদের মধ্যে বোন রহিমা বেগম, স্বামী-পরিত্যক্তা ও অসহায় বিধায় তাদের সংসার পরিচালনা এমনি ভরণপোষণ আমি দিয়ে আসছি। রহিমা অসহায় বিধায় আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সন্তানাদি নিয়ে বসবাস করতে দি। ইতিমধ্যে দৌতলা ভবন বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় তা পূনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করি। আমি আমার বোন রহিমাকে পরিত্যক্ত ভবন ছেড়ে ভাড়া বাসায় উঠতে বললে যাচ্ছি, যাবো বলে গড়ি মসি শুরু করে। এক পর্যায়ে আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় আমি তাকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করলে সে কোনো রকম রশিদপত্র দেননি। রশিদপত্র চাইলে বড় বোন দেননি, আমিও বড় বোনের সম্মানার্থে কিছু বলি নাই। এই দিকে ভবন ছেড়ে না দিয়ে আমি কাজ করতে গেলে আমার বড় ভাই লালপুর বড় বাড়িতে আমার পিতার দেওয়া বসত বাড়িতে বাস করা আবদুর রহমান বাবুল ও তার স্ত্রী স্বপ্না আমার বোন রহিমা আক্তার আরজু, বোনের মেয়ে মাহিশা, আরেক বোন মাজেদা আক্তার বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ আমার কাছে বাধা প্রদান করে। সে জিজ্ঞেস করতে গেলে গত ৩১/০৩/২০২৩ ইং রোজ শুক্রবার সকালে লাঠি-চোটা দিয়ে তাকে বেদন মারধর করে। এতে আবু নাঈম বাপ্পি আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সিনিয়র বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৫৭/২৩ ইং পিটিশন মামলা করে। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট সুধারাম থানাকে তদন্তের আদেশ দিলে মামলাটি সুধারাম থানায় তদন্তধীন আছে। এই দিকে আবু নাঈম বাপ্পির বিরুদ্ধে তারা অস্থায়ী নিষেজ্ঞা চেয়ে বিজ্ঞ যগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ১৮/২০২৩ মামলা করে। মামলার স্বপক্ষে আবু নাঈম বাপ্পি দলিলাদি ও কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালতে জমা দিলে বিজ্ঞ আদালত বিচারক মাশফিকুল হক বিবাদী পক্ষের দৌতরপা সূত্রে বিনা খরচে উক্ত অস্থায়ী নিষেজ্ঞা নামঞ্জুর করেন। আবু নাঈম বাপ্পি বলেন এতে বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ১৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে আমার পরিত্যক্ত ভবনে শ্রমিকরা কাজ করার সময় লালপুর থেকে ভোরে আমার বড় ভাই আবদুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না ও ২ বোন, ভগ্নিপতি সহ অন্যান্যরা মরিচের পানি গুলে শ্রমিকদের চোখে মুখে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে দৌড় দিলে মরিচ মিশানো পানিতে পা পিছলে সিঁড়িতে পড়ে আবদুর রহমান বাবুলের কোমড়ে ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে তাকে আমিসহ স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এরপর তারা মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে সন্ত্রাসী জড় করে আমাকে হামলা করার পরিকল্পনা করে। ঘটনাটি আমি আছ করতে পেরে শ্রমিকদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে আসি। আবু নাঈম বাপ্পি বলেন আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আবু নাঈম বাপ্পি আরও বলেন, আমি বলবো কোন ভাই তার বোন যদি ভিক্ষাও করে তাকে ভিক্ষা দিয়ে বিদায় করে দাও, তারপরও তাকে আশ্রয় দিও না। বোনকে আশ্রয় দিয়ে বর্তমানে আমি নিজের আপন এক ভাই ও দুই বোনের আতঙ্কে খরিদ করা ভিটি-বাড়ি ছেড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার সম্পত্তি ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসন ও ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।