গাজীপুর প্রতিনিধি:
অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও কর্মস্থলে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বাসন ৫-৮ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ এর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এ বদলী করা হলেও তৎকালীন সাবেক প্রয়াত মেয়র এম এ মান্নান এর সময় জোর তদবীরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ২০১৩ সালের শেষের দিকে যোগদান করেন। এখানে দীর্ঘ আট বছর দায়িত্ব পালনের পর তাকে ২০২১ সালের শেষের দিকে তাকে বাসন ৫-৮ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিভাগে বদলী করা হয়। সেখানে নিজের খেয়াল খুশিমত অফিসে আসা যাওয়াসহ বেশিরভাগ দিনই তিনি অফিসে হাজিরা দিয়ে বাকি সময় অনুপস্থিত থাকেন। তার এমন কান্ডজ্ঞানহীন দায়িত্ব পালনে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর বাসন ৫-৮ অঞ্চলে ২ হাজার এলইডি লাইট ফাইলের অনুমোদন থাকলেও তিনি তা কিনছেন না। কোন কাজও করছেন না। বাসন ৫-৮ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার এলইডি লাইট স্থাপন না করার ফলে রাস্তা গুলোতে সন্ধ্যার পর ভুতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া নানান দূর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন পথচারিরা।
আরো অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ২৯ নং ওয়ার্ডের মরহুম সদর আলী মাতাব্বর সড়কের পাশে ব্যাংকের ডিপিএসএর মাধ্যমে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করে সেখানে সিটি করপোরেশনের প্ল্যান ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়ি নির্মাণ করায় ইতোমধ্যে এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মবহির্ভূত নির্মিত বাড়ির প্ল্যান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় জাহাঙ্গীর আলম মেয়র থাকাকালীন সময় তাকে বার বার প্ল্যান পাসের তাগিদ দিলেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। বরং নিয়মকে অনিয়মে রূপ নিয়ে বাড়ির নির্মানাধীন কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। জানা গেছে, বাড়ির নির্মানাধীন কাজে বাধা দেয়ায় পর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে সাময়িক বহিষ্কারের খবর শুনে আনন্দে উল্লাসে তিনি ও তার স্ত্রী ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিচরণ করেন। আবার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন করে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে তোলার পায়তারা করছে।
শুধু তাই নয় আরিফ আহমেদ এর নির্মাণাধীন ভবনে লাগিয়েছে ডাবল ফিডার সংযোগ, যা অবৈধ ও সম্পূর্ণ বেআইনি।
২ হাজার এলইডি লাইট ফাইলের অনুমোদন থাকলেও তিনি তা কিনছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কিছু আমার জানা নাই, আমাদের স্টকে লাইট না থাকার কারণে সিইও মহোদয়ের কাছে বলা হইছিলো। তখন সিইও মহোদয় ভান্ডার রক্ষককে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেছিলো মাল (লাইট) আছে কিনা তখন সে(ভান্ডার রক্ষক) বললো যে স্যার আমাদের কাছে কোন মাল নেই। নির্মানাধীন বাড়ির প্ল্যান পাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা, প্ল্যান পাশ করেই বাড়ির নির্মানাধীন কাজ করেছি।