গাজীপুর প্রতিনিধি:
জ্ঞান বিকাশের জন্য শ্রেণীকক্ষের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়া প্রয়ােজন। যাতে করে বাস্তব জগতে জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হওয়া যায়। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সৃজনশীল ও ইতিহাস- ঐতিহ্য সম্পর্কিত বই নিয়মিত পাঠ করা প্রয়ােজন। যার জ্ঞানের ভাণ্ডার শব্দ সংখ্যা যতবেশি সে ততবেশি স্মার্ট। বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বই কেনা এবং বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করাই বইমেলার মূল উদ্দেশ্য। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দিবে। তারা যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়, আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়, সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এ লক্ষ্যেই আজকের এ বই মেলার আয়ােজন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতামধ্যে অনেক পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সেসব পাঠ করা একান্তই দরকার। যাতে তারা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক হয়ে উঠবে এবং বঙ্গবন্ধুর সােনার বাংলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শােক দিবস উপলক্ষ্যে ২২ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাউবি’র মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যাগে বঙ্গবন্ধু বইমেলা উদ্বােধনকালে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এসব কথা বলেন।
বাউবি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু বইমেলা উদ্বােধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এবং পাশে ছিলেন উৎসাহী শিক্ষার্থীগণ।
উদ্বােধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, রেজিস্ট্রার ড. মুহাঃ শফিকুল আলম ও বাউবি’র মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম। বাউবি’র শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাে: আনােয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাে: আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কে এম রেজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মাে: শহীদুর রহমানসহ ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীগণ ও শ্রাবণ প্রকাশণীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাউবি’র মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মাে: মশিহুর রহমান চৌধুরী উদ্বােধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বঙ্গবন্ধু বইমেলা প্রদর্শনীটি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলে।