আগামী বছরের জানুয়ারিতে হতে যাচ্ছে বাংলদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে সরব আন্তর্জাতিক অঙ্গন। নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত-চীনও দেখাচ্ছে সতর্ক প্রতিক্রিয়া।
বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনে হেরে গেলে বা সরকারের পতন ঘটলে বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বেকায়দায় পড়তে পারে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতও। দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দুর পাক্ষিক প্রকাশনা ফ্রন্ট লাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রণয় শর্মা লিখেছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে যে ভারতবিরোধী মনোভাব আছে, সেখানে শেখ হাসিনার সরকার খুব সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে নির্ভরশীল ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। যদিও ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বিগ পাওয়ার’ হিসাবে ধরা হয় কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই অবস্থানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। আর দক্ষিণ এশিয়ায় চীন দিনের পর দিন তার অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের মুসলিম-বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যকে শেখ হাসিনা যে পাত্তা দেননি-এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এই সম্পর্কের মাধ্যমে দিল্লি এমন একটি উদাহরণ তৈরি করতে সম্মত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে প্রতিবেশীরা কীভাবে সুফল পেতে পারে।
আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রতিবেদনের শেষ দিকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে হেরে যান, তাহলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনকি আবারও বাংলাদেশ উগ্রবাদীদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হতে পারে। ফলে আওয়ামী লীগের প্রস্থানের বিষয়টি শুধু ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।