যশোর প্রতিনিধি:
অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোন পাকা রাস্তা ছিল না। তিনি সেখানে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পিচের রাস্তা নির্মাণ করেছেন, প্রতিষ্ঠা করেছেন দেড় শতাধিক নতুন বেসরকারী প্রাইমারি স্কুল। শুধু তাই নয়, তাঁর সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা এবং কলেজ। প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। এখানকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী থেকে পলি অপসারণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন পরবর্তীতে তা সরকারী উদ্যোগে পরিণত হয়। ফলে যশোর অঞ্চলে ড্রেনেজ প্রকল্পের মাধ্যমে এ পলি নিষ্কাশন করে সেখানে ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। । সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য ও কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার করে জনগণকে স্বাস্থ্য, কৃষি, পশুপালন ও মৎস্য চাষ সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করেছেন। এতে উপকৃত হয়েছে এলাকার জনগণ।
প্রত্যেক রাজনীতিবিদ রেখে যেতে চান রাজনীতিক উত্তরসূরী রুপে তার সন্তানকে যে তার সম্মানকে আরো উচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত করবে,ভালবাসবে তার রেখে যাওয়া অসংখ্য সন্তান-সম রাজনৈতিক কর্মীও সহযোদ্ধাদের।
কিন্তু এই খান পুত্র হুমায়ূন সুলতান সাদাব রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই জন্ম দেন এক কলঙ্কিত কাহিনীর। পরবর্তীতে পুত্রের দেওয়া কষ্টের জ্বালায় ধীরে ধীরে মানসিক যন্ত্রণায় অকালে মৃত্যু বরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট খান টিপু সুলতান।
ডাক্তার শামারুখ মেহজাবিন সুমির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২০১২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর যশোর- ৫ আসনের বারবার নির্বাচিত মরহুম সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট খান টিপু সুলতানের পুত্র হুমায়ুন সুলতান সাদাব।
কিন্তু বিবাহের সুখের সংসার ২ বছর পার হতে না হতেই ২০১৪ সালের ১৩ ই নভেম্বর সুমি (২৬) কে হত্যার মামলায় হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে ধানমণ্ডি থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ১৪ ই নভেম্বর। টিপু সুলতানের পরিবারের পক্ষে আত্মহত্যা দাবি করা হলেও মেহজাবিনের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
হাসপাতালে মেয়ের লাশ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সুমির বাবা। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয় যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্র হুমায়ুন সুলতানের স্ত্রী শামারুখ মেহজাবিনকে । সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৩ ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে সুমীর বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে সুমীর স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাত, শ্বশুর সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান এবং শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা বেগমকে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী শরিফুল ইসলাম জানান, হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে ধানমণ্ডি থানা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামি টিপু সুলতান ও তার স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা ধানমণ্ডিতে তাদের বাসায় তালা দিয়ে পালিয়েছেন। তবে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। নিহতের গলায় দাগ ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। ঘটনার পর সুমীর স্বামী সাদাব একটি অপমৃত্যু মামলা করতে ধানমণ্ডি থানায় আসেন বিকেল ৪টার দিকে। এসময় তিনি বেশ কান্নাকাটি করছিলেন। পরে ওসির নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রাতে থানায় এসে জানতে পারেন সুমীর বাবা এ ঘটনায় মামলা করেছেন। ওই সময় সাদাতও থানায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে শুক্রবার সাদাবের বিরুদ্ধে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়। তবে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন বলে জানান তিনি। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয় মেহজাবিনের মৃত্যুর রহস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একমাত্র মেয়ে মেহজাবিন মারা যাওয়ার এক দিন আগে পিতার কাছে ফোনে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সম্পর্কে যে কথা বলে গেছেন তা আঁতকে ওঠার মতো। ঐ ফোনে বাবা-মেয়ের মধ্যে প্রায় ৩২ মিনিটি কথা হয়। এ সময় মেহজাবিন বাবাকে বলেন, বাবা আমি আর এ বাসায় থাকতে পারছি না। আমাকে নিয়ে যাও। যে কোনো সময় হুমায়ুন সুলতান (স্বামী) আমাকে মেরে ফেলবে। দীর্ঘ ফোনালাপে মেয়ে বাবাকে আরো বলেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আর পড়াশুনা করতে দিতে চাচ্ছে না। ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে দেয়নি। জানুয়ারির ১ তারিখে এফসিপিএস পরীক্ষাও দিতে দেবে না। মেয়ের এসব কথা শুনে বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, দুএকদিনের মধ্যে আমি ঢাকায় আসছি তখন তোর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলে যাবো। তুই কষ্ট করে এফসিপিএস পরীক্ষাটা শেষ কর। মেয়েকে বুঝিয়ে ফোনলাপ শেষ করেন বাবা। বাবা আসলেন তবে মেয়েকে আর জীবীত পেলেন না। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মেয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে যশোর থেকে ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে ছুটে আসেন মেহজাবিনের বাবা নুরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৬নং রোডের ১৩নং বাসা থেকে সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খান টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন আরার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ শামারুখ মেহজাবিন সুমিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন খান টিপু সুলতান। তিনি দাবি করেন, পুত্রবধূ সুমী আত্মহত্যা করেছে।
সুমী যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের মেয়ে। তিনি রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যার রহস্য উম্মোচনে অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে এসেছে। কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর বের করতে পারেনি। শামারুখকে উদ্ধার করে ২০০ গজ দূরে থাকা ধানমন্ডি থানা পুলিশ না ডেকে নিজেই তারা লাশ নামান। বাসার বিপরীতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও সেখানে নেয়া হয়নি। নিজের মালিকানাধীন হাসপাতালে (সেন্ট্রাল হসপিটাল) নেয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ আমার মেয়ের মোবাইল নম্বর ও আসামিদের মোবাইল নম্বর লিখিতখভাবে থানায় জমা দিয়েছি, কললিস্ট চেক করার জন্য। কারণ ঘটনার আগে ও পরের কললিস্ট চেক করলেই পরিষ্কার হয়ে যেত হত্যাকান্ডের রহস্য। আমি অন্যভাবে জানতে পেরেছি, ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর সকাল ৯টা ৩০ মিনিট হতে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে খান টিপু সুলতান ও তার ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাব ৩৫ বার কথা বলেছেন। আর হুমায়ুন সুলতান সাদাবের সঙ্গে মা জেসমিন আরা বেগম কথা বলেছে ১৩ বার। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে কোথাও এ বিষয়টি উল্লেখ করেননি। আসামির বাড়ির গাড়ির ড্রাইভার ও কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দাবি করেছিলাম সেটিও করা হয়নি। এমন অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই মামলাটি পূনঃতদন্তের মাধ্যমে বিচার কাজ করার দাবি করছি।
বাদীর আপত্তিতে দাফনের ১৭ দিন পর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর মরদেহ উত্তোলন করে দুই দফায় ময়না তদন্ত করা হয়। তারপরও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি দাবি মামলার বাদীর। সুমীর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালে যশোরে সংবাদ সম্মেলনে
দাবি করা হয়, শুরু থেকে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে খান টিপু সুলতান তৎপর ছিলেন। তারা তদন্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের প্রভাবিত করেছেন।
বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘খুনি আমার মেয়েকে বাম হাত দিয়ে হত্যা করেছে। গলার বাম পাশে এক আঙুলের (বুড়ো আঙুল) চাপের দাগ, ডান পাশের দুই আঙুলের চাপের দাগ ছিল।’
তিনি এসময় আরো কিছু অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘গলায় ওড়নার ফাঁস থাকলে গিরা পেছনের দিকে বা পাশে থাকে। থুতনিতে দড়ি বেঁধে গেলে ঝুলে পড়া যায় না। তাই গলার দুই পাশের ওই দুটি দাগ, গিরা বা নোডের নয়। বাথরুমের সিলিংয়ের উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি সেখানে কোনো হুক নেই। ৫ ফুট দুই ইঞ্চি গ্রিলের সঙ্গে ৫ ফুট আড়াই ইঞ্চি উচ্চতার মেয়ে কি ভাবে আত্মহত্যা করল বোধগম্য নয়। আদরের কন্যা ডা. শামারুখের মৃত্যুর পুন:তদন্ত চাইলেন প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, তার মেয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে সন্তানহারা এই বাকরুদ্ধ বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রাক্তন সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।
সহপাঠী ডালিয়া নওশীন বলেন, শ্যামার পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাছাড়া আত্মহত্যা বলা হলেও গলায় ওড়নার ছাপ গভীর নয়। আরেক সহপাঠী ডা. আবিদা সুলতানা ঐশী বলেন, “শ্যামার মতো মেয়ে আত্নহত্যা করেছে, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় নখের আচড়ের দাগ ছিল এটা সবাই দেখেছে। “আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। কেউ যেন এ ঘটনাকে প্রভাবিত না করতে পারে সে দাবি জানাই।”
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহতের মামা কাজী ফিরোজুর রহমান বলেন, “শ্যামা বাথরুমে আত্মহত্যা করতে পারে না। কারণ সেখানে সেই সুযোগ বা পরিস্থিতি নেই।” টিপু সুলতানের ছেলে কয়েক মাস আগেও শ্যামাকে দিয়ে তার বাবার কাছে সোফা কেনার জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ফ্রিজ কেনার জন্য দেড় লাখ ও এসি কেনার জন্যও টাকা নিয়েছিল।
“তারপরও কোন অপরাধে আমাদের মেয়েটাকে মেরে ফেলল,” বলেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।
বিগত বছর গুলোতে যারা টিপ সুলতানের প্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও জনগণ কেমন আছে খোঁজখবর না নিলেও সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে নৌকার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হুমায়ুন সুলতান সাদাব। হুমায়ুন সুলতান সাদাব জনগণকে কাছ থেকে চেনেন না। জনগণ তাদের প্রিয় নেতা এডভোকেট খান সুলতানের পুত্র হিসেবে চেনেন। জনমনে একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে বলে দাবি করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, সাদাব, উনি তো অমাবস্যায় পূর্ণিমার চাঁদ! আমরা কেমন আছি উনি কি একবারও খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? সারাটা বছর তো ঢাকায় পড়ে থাকেন। সামনে নির্বাচন। শুনছি তিনি এমপি প্রার্থী হবেন। তাই মনিরামপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অল্প কিছু লোক নিয়ে নৌকার প্রচারনায় ব্যস্ত। টিপু সুলতানের আস্থা ভাজন কেউ কি তার সাথে আছেন? উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম,প্রবীণ নেতা গৌর কুমার ঘোষ, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, এডভোকেট বসির খান সহ কোন হেভিওয়েট রাজনীতিক নেতাকর্মী তো তার সাথে নাই।
মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রনি পাটোয়ারী বলেন, হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে ভোট দেবে কে? সে কি জনগণের কাছের কোন লোক? না জনগণ তাকে চেনে? নাই তার কোন জনপ্রিয়তা, না বুঝে কর্মী মূল্যায়ন। লোকে ভালোবাসতো টিপু সুলতান কে। এই দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে ছাড়া কখনো কি খোঁজ নিয়েছে টিপু সুলতানকে যারা মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতো, তারা কেমন আছে, কোথায় আছে? উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল কোন নেতা বা কর্মী তার পক্ষে কাজ করছে বলে আমার জানা নেই। মরহুম নেতা এডভোকেট টিপু সুলতানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে যদি কোন ফায়দা লুটতে চায় মনিরামপুর বাসী তা কখনোই মেনে নেবে না। জনগণ এখন নেতাদের নাটক বুঝতে শিখেছে। আর জনগণ যখন চায় না তখন নৌকার মনোনয়ন পাওয়াটাও আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।