গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
জিয়াউর রহমানের মরোণত্তর বিচার ও ২১ আগষ্ট হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড এবং পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগ। বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ কামরুল আহসান সরকার রাসেল। এসময় বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সুমন আহমেদ শান্ত বাবু, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলু, বাসন থানা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোঃ হালিম মণ্ডলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে চান্দনা চৌরাস্তা এসে শেষ হয়। এসময় গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়। ২০১৪ সালেও নির্বাচনের আগে দেশের সাধারণ মানুষের উপর তারা তাণ্ডব চালিয়েছে। বাসে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আবারও দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে । বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়, মানুষ আতঙ্কে থাকে, ভয় পায়, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ কারণেই যুবলীগ রাজপথে থেকে সাধারণ মানুষকে সাহস দেয়। যখনই তারা কর্মসূচি দেবে, যুবলীগও রাজপথে থাকবে।
তিনি বলেন ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সেদিন যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো, সেই হত্যার যে মূল নায়ক হত্যার যে মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসীর দাবিতে এবং ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সে দিনের মূল পরিকল্পনাকারী, যিনি এই শান্ত বাংলাদেশ কে অশান্ত করার চক্রান্ত করছেন সেই মূল পরিকল্পনাকারী, এবং মাষ্টারমাইন্ড তারেক রহমান কে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করার দাবিতে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসুচি।
রাসেল সরকার বলেন, আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্টে এদেশে যে হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রে এদেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। পৃথিবীর মানচিত্রে এদেশের মাটিকে যেভাবে কলঙ্কিত করা হয়েছে। যার কারণে কলঙ্কিত হয়েছে সেই খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসি চাই আজকের এই মানববন্ধন কর্মসুচি থেকে।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই যে, বাপ গেছে যেই পথে ছেলেও গেছে সেই পথে। ২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্টে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সেদিন গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যে ভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সফল হতে পারেনি, সেদিন যে গ্রেনেড মারা হয়েছিল, যে গ্রেনেড থাকে সেনাবাহিনীর কাছে সেই গ্রেনেড দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে রাসেল সরকার বলেন আজকের এই মানববন্ধনে শুধু যুবলীগ উপস্থিত না, আজকের এই মানববন্ধনে সকল প্রকার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন, উপস্থিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও কারণ বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দরকার, আওয়ামী লীগ এর দরকার।
গত ২ আগষ্ট রংপুরের মহাসমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, রংপুরে জনসভায় জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছিল, রাসেল সরকার আরো বলেন, এই সেই চৌরাস্তা যে চৌরাস্তায় একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছিলো, যে কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার, তার শিশু সন্তান কে ঘুমানো রেখে তার জন্য নাস্তা আনতে গিয়েছিলো কিন্তুু তিনি এসে দেখেন তার সেই সন্তানসহ কার্বাড ভ্যানে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে। সেই দিন আর নাই আমরা যুবলীগের নেতাকর্মীরা তা হতে দেবনা, আমরা শক্তহাতে প্রতিহত করবো।
আজকের এই মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই, ওই খুনি, সন্ত্রাসী, কুলাঙ্গার তারেক জিয়াকে বিদেশের মাটি থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করতে হবে। মানববন্ধন ও পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আহমেদ শান্ত বাবু, যুবলীগ নেতা আমান উদ্দিন সরকার, লিটন উদ্দিন সরকার, আতিকুর রহমান খান রাহাত, তানভীর আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন দেলু ও নাহিদ মোড়ল প্রমুখ।