উপজেলা (মনিরামপুর) প্রতিনিধি:
মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ অনুসারে দুই শ্রেণীতে থাকছে না কোনো পরীক্ষা। কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এক আজানা তথ্য যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বাগডাঙ্গা দহাকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
কে এই হামিদুল ইসলাম? দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে এ হামিদুল ইসলামের নাম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তখনই এই হামিদুল ইসলামের মত কিছু অসৎ বিএনপির নেতা দেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দিনরাত বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। সরকার থেকে বেতন নিচ্ছেন কিন্তু করছেন না কোন সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা। গত সোমবার (১৩ মার্চ,২০২৩) এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না।
গণমাধ্যম কর্মীরা বোর্ড অনুলিপি অনুযায়ী প্রশ্নপত্র করে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানতে চাইলে, হামিদুল ইসলাম বলেন, মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার তাকে অনুমতি দিয়েছেন এই প্রশ্ন করে পরীক্ষা নেওয়ার। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাগডাঙ্গা দহাকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখর চন্দ্র রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে আপনাদের লাভ কি? তিনি আরো বলেন সরকারের আইন মেনে চললে কেউই চলতে পারবেন না। অথচ শেখর চন্দ্র রায় চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েও সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম নীতি মানছেন না। ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার নাজমিন নাহার শান্তা বলেন, আমার সন্তান ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে, আমি নিজেও দেখেছি দুই তিনটা প্রশ্ন। মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আর আমি কখনোই নিয়ম নীতির বাইরে গিয়ে কোন অনুমতি দিতে পারিনা।
মাউশি বলছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরে জানিয়ে দেয়া হবে।
শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।