‘জাতির পিতাকে হত্যা করার পর ইসলামের নাম নিয়ে অনেকে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার সকালে পঞ্চম পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করি তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। আমি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করে দিই। সব জেলায় স্থায়ী অফিস ছিল না, মাত্র ৩৪টি জেলায় অফিস ছিল। আমি সরকারে আসার পর প্রতিটি জেলায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য অফিসের ব্যবস্থা করে দিই ও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
মুষ্টিমেয় কয়েকটি মানুষের জন্য আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলাম বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে কারো ছেলে-মেয়ে যাতে জড়িত না হয়। আমি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সব ইমামদের এ বিষয়ে, বিশেষ করে শুক্রবার জুমার খুতবার সময় সকলকে সামাজিক বিষয়গুলোতে সচেতন করুন, আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন জঙ্গিবাদে জড়িত না হয়।
ইসলামের সঠিক বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এ ছাড়া মসজিদে হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার-ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা ও ইসলামিক কনফারেন্সরুম রয়েছে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ইসলামী দাওয়াত, ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধাও আছে এই মসজিদে।