মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
মুক্তাগাছার গোয়ারী এলাকার এ.কে.এম মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রীজটি প্রায় এক বছর পূর্বেই যান চলাচলের অনুপযোগী হলেও বিকল্প পথ না থাকায় ভেঙ্গে মাঝখানে ডেবে যাওয়ায় পরও ব্রীজ দিয়ে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলা শহরে যোগাযোগের মধ্যপথ গোয়ারী এলাকায় সিংরা নদীর উপর স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে নির্মিত আনুমানিক ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ১২ ফুট প্রস্থ ব্রীজটি মাঝখানে ভেঙ্গে প্রায় ২ ফুট ডেবে গেছে। ব্রীজটি দিয়ে মুক্তাগাছার সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামসহ মুক্তাগাছা উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মহিষতারা, বন্দগোয়ালীয়া, বনবাংলা, বাদেকলমোহনা, গোয়ারী ও এ.কে.এম মোশারফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকল্প পথ না পেয়ে ঝুকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ব্রীজটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করে বিল বোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। ঝুকিপূর্ণ ঘোষণার পর থেকে ভারী যানবাহন চলাচল না করলেও ব্রীজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার রিক্সা, ভ্যান, অটো, সিএনজি চলাচল করে যাচ্ছে। ব্রীজটির অবস্থা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যান ও ভারী যানবাহন চলাচল না করলেও তাদের যাত্রী/মালামাল পারাপারে ঝুকি নিয়েই রিক্সা, ভ্যান, অটো, সিএনজি ব্যবহার করছে।
স্থানীয় সেলিম মিয়া জানান, এই ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। কখন যে দূর্ঘটনা ঘটবে বলা যায় না। ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ আর চলাচলের একটা বাইপাস রাস্তার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।
পথচারী ইউসুফ আলী জানান, আমি প্রায় প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকি। এই ভাঙ্গা ব্রীজটি দ্রুত পুনঃনির্মাণ না করলে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপদ। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকার জন্য অনেক সময় দেখি ট্রাক ভর্তি মালামাল ব্রীজের ঐ পাশে নামিয়ে আবার ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে অসুবিধা আর খরচ দুইটাই অনেক বেশি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি এই ব্রীজের উপর দিয়েই যেতে হয়। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ আজ এতদিন হলো ভেঙ্গে পড়ে আছে। ব্রীজের ব্যাপারে আমরা এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন ব্রীজটি যেন দ্রুত নির্মাণ করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ঝুকি এড়াতে ব্রীজের দুই পার্শ্বে মাঝখানে খুঁটি দেয়া হয়েছে যেন ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারে। ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ইস্টিমেট করে হেড অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হেড অফিস থেকে পাশ হয়ে আসলেই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।