ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিরে গেছেন। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে গৌতম আদানি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত। ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে তিনি স্যালুট জানান।
যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি গ্রুপের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকায় নামেন গৌতম আদানি। বেলা ১১টার দিকে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর বেলা সোয়া একটার দিকে আবার নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট আছে। প্রথম ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত মার্চে। এরপর গত ৬ এপ্রিল এটি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২৫ জুন মধ্যরাত ১২টায়।
২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি করে বালাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। চুক্তি অনুসারে আদানি গ্রুপের কম্পানি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনে নেবে বিপিডিবি। তবে উৎপাদন শুরুর আগেই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার দাম নিয়ে আপত্তি তোলে বিপিডিবি। এ নিয়ে আদানির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে বিপিডিবি।
পরে আদানির প্রতিনিধিদল প্রতিশ্রুতি দেয়, পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দামের চেয়ে তাদের কয়লার দাম বেশি হবে না।
যদিও এখন পর্যন্ত আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কোনো বিল পরিশোধ করেনি বিপিডিবি। প্রথম তিন মাসের বিল ইতিমধ্যে জমা দিয়েছে তারা।