অনলাইন ডেস্ক:
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এ সময় তিনি নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ধর্মীয় উসকানি তৈরির অভিযোগ আনেন।
নুরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান ববি হাজ্জাজ।
একই সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নুরের গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনে ‘গণ অধিকার পরিষদ’-এর নিবন্ধন প্রদান না করতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে এনডিএম।
রবিবার (৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে এনডিএম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গণমাধ্যম, নিজ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত মেন্দি (এন) সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন নুরুল হক নুর।’ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত স্পর্শকাতর বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, দখলদার রাষ্ট্র এবং মুসলিম উম্মাহর পরিষ্কার শত্রু ইসরায়েলের প্রতিটি আগ্রাসন এবং পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের দল।
আমরা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থপরিপন্থী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে নুরুল হক নূরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করেছি।”
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে কোনো ইহুদিদের চর বা কোনো শত্রুরাষ্ট্রের এজেন্ট রাজনীতি করতে পারবে না। নূরের অর্থের উৎস কোথায়? বিলাসবহুল মধ্যপ্রাচ্য সফরে কে বা কারা তাঁকে অর্থ প্রদান করেছে? এর উদ্দেশ্য যদি হয় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক, তাহলে নূর এবং তাঁর সহযোগীরা সবাই দেশের এবং মুসলমানদের শত্রু।’এ সময় এনডিএম-এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৯৬ ধারার বিধান মোতাবেক গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী মামলা রুজুর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. জিশান মাহমুদ।
আজ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের দপ্তরে এ চিঠি দেওয়া হয়।