মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ৮ জুলাই থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে একযোগে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ড্রোনের মাধ্যমে ভবনের ছাদবাগানে মশার উৎস চিহ্নিত করণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এই ঘোষণা দেন।
সেলিম রেজা বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
সচেতনতা বাড়াতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিএনসিসির মাননীয় মেয়রের নির্দেশে শনিবার (৮ জুলাই) থেকে মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে মশার উৎসস্থল ধ্বংস করা হবে। এডিসের লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
তিনি আরো বলেন, ‘ড্রোনের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার সকল ভবনের ছাদ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ছাদে ও ছাদবাগানে জমা পানি থাকলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা গিয়ে পরিদর্শন করে দেখবেন লার্ভা আছে কিনা। কারো অবহেলায় লার্ভা পাওয়ার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার সব ভবন সার্ভে করা হবে।
এ সময় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন থেকে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটের সদস্যদের যুক্ত করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। মসজিদ-মাদরাসার ইমাম ও খতিবগণ এবং স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছি। ইতিমধ্যে ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করছি।
তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। ছাদে ও বারান্দায় কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না।’অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিমউল্লাহ (সলু), ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাসেম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিন আক্তার সাথী ও রোকসানা আলম প্রমুখ।