সৌদি আরব সোমবার বলেছে, তারা স্বেচ্ছায় প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে একই দিনে রাশিয়া বলেছে, তারা তেলের রপ্তানি দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দিচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও চীনের দুর্বল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে ক্রমাগত পতনসহ বিভিন্ন কারণে কম্পিত বাজারগুলোকে স্থিতিশীল করতে প্রধান তেল উৎপাদকদের এই পদক্ষেপগুলো ছিল সর্বশেষ প্রচেষ্টা।
বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্ত জুনে তেল উৎপাদনকারীদের বৈঠকের পর প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সপ্তাহান্তে কার্যকর হয়েছিল।
সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান তখন সেই সিদ্ধান্তকে ‘বর্ধিতযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এরপর সোমবার এক প্রতিবেদনে ঘোষণা করা হয়, কম তেল উৎপাদনের সিদ্ধান্তটি আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এটি আরো ‘বাড়ানো হতে পারে’।
এসপিএ বলেছে, সূত্রটি নিশ্চিত করেছে, স্বেচ্ছায় উৎপাদন অতিরিক্ত কমানোর সিদ্ধান্তটি তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্যকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ওপেক প্লাস দেশগুলোর করা সতর্কতামূলক প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করতে নেওয়া হয়েছে।
সোমবারের নতুন ঘোষণার ফলে সৌদির দৈনিক উৎপাদন আনুমানিক ৯ মিলিয়ন ব্যারেলে চলে যাবে।
অন্যদিকে সোমবার রাশিয়া আগস্টের জন্য দেশটির তেল রপ্তানির পরিমাণ দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ‘তেলের বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে’ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার জ্বালানি নীতির দায়িত্বে থাকা উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এক ঘোষণায় এ তথ্য জানান।
ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতি মস্কোর প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছর একই পরিমাণে রাশিয়ান তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে বড় আকারের শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো ইউরোপের বদলে ভারত ও চীনে জ্বালানি রপ্তানি শুরু করেছে।