আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জনগণের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের মূলমন্ত্র।
আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগণ সুবিধা পায় এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এটা প্রমাণিত সত্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই আজ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি জানি অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পদ বেচবে, লুটপাট করবে, এটা এই দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির কারণে জনগণ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জনগণ।
এ সময় তিনি দাবি করেন, ২০০৭ সালেও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ভোটচুরির ষড়যন্ত্র করছিল। এজন্য জনগণ দ্বারা বিতাড়িত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মানুষের অধিকারের জন্য।
এদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনকে অনেক কথা বলে। আমরা তাদের একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কোথায় ছিল বাংলাদেশ। এ সময় বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আক্তার জাহান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর সভাপতি বজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহসভাপতি সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়।