বিএনপি বিদেশিদের প্রভাবিত করে আবারও ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি এখন আবারও বিদেশি শক্তিকে দিয়ে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে। ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশি শক্তিকে দিয়ে দুই বছরের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর পরিকল্পনা করছে। বিএনপি এখনো মনে মনে মন কলা খাচ্ছে। নিজের দলের ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনকে বসাবে।
আমরা বেঁচে থাকতে সেটা আর হবে না।
আওয়ামী লীগের সময় কবে শেষ হবে তার দিন তারিখ বিএনপির কাছে জানতে চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন- শেখ হাসিনার সময় শেষ, আওয়ামী লীগের সময় শেষ। সময়টা কবে শেষ হবে দিন তারিখ বলুন। ১৪ বছর ধরে দেখছি, সময় তো শেষ হয়নি।
এখন আবার বলছেন সময় শেষ। দেখতে দেখতে ১৪ বছর। দিন তারিখ ঠিক করে প্রেস কনফারেন্স করেন। আমরা যাতে এক গোছা গোলাপ, রজনীগন্ধা নিয়ে হাজির হতে পারি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এই বলেন, রোজার ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, তারপর বলে বর্ষার পর, পরীক্ষার পর।
এই বছর না ওই বছর? আন্দোলন হবে কোন বছর? দেখতে দেখতে ১৪ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর? সময়টা বলেন। যেন আমরা সময় মতো আপনাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা যখন বিদেশে সম্মানিত হন, বাংলাদেশের মানুষ খুশি হয়। কষ্ট পায় বিএনপি। তাদের কলিজা শুকিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সম্মান আনছেন দেশের জন্য, এটা যখন দেখে তখন তাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না।
নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যারা বাধা দেয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি তাদের বাধা দেয় কিনা, আমরা তা দেখতে চাই। গাজীপুর, খুলনা, বরিশালের মতো সামনের সকল নির্বাচন সুন্দর হবে। সংবিধানের নিয়ম কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসুক বা না আসুক সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সময় আর স্রোতের মতো সংবিধানের নিয়মও কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।