মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, যে দেশকে একসময় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এখন বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এগিয়ে আসার কারণে দেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নীতি নির্ধারণসহ বেসরকারি খাতকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেই এ উন্নয়ন হয়েছে।
সেমস গ্লোবালের আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ২৫ থেকে ২৭ মে ২০২৩ পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ ফুড অ্যান্ড এগ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো এবং ১৪তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৩ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে শিশু মৃত্যু-মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ সরকার দেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দিতে পারছে, উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে, মানুষের প্রশান্তির জন্য অন্যান্য যেসব সহযোগিতা দরকার তা দিতে পারছে। প্রান্তিক পর্যায়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এক সময় বিপন্ন ছিল। এখন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।’
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেল, ঢাকা-কক্সবাজার অত্যাধুনিক রেল সংযোগ, রাস্তার ব্যবস্থা, কী না হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে কোনো মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকে না, চিকিৎসার অভাবে কোনো মানুষ মারা যায় না। দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে দেশের মানুষের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রীয় উপযুক্ত পলিসি এবং সরকার প্রধানের নিরলস প্রচেষ্টায়। রাষ্ট্র নাগরিকের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে চায়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খুরশিদ ইকবাল রেজভী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনিন, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং চেন্নাই ফার্টিলিটি সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. ভি এম থমাস।