সমসাময়িক সময়ে হলে কবি কাজী নজরুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নিজ কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা উৎসর্গ করতেন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘নজরুলের প্রথম যে কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা সেটিরও শতবর্ষ পূর্তি উজ্জীবিত হচ্ছে। নজরুল তাঁর জীবনের উৎকৃষ্ট সময়ে যে প্রথম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন সেটিই তাঁকে সারা পৃথিবীতে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে, সাম্যের কবি, ভালোবাসার কবি, অসাম্প্রদায়িকতার কবি, মানবতার কবি হিসেবে গভীরভাবে স্থাপন করে।
তিনি আরো বলেন, ‘নজরুল তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ যাকে উৎসর্গ করেছেন সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, যাকে তিনি এই কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেন তিনি ছিলেন তৎকালীন সমগ্র ভারত ও বাংলার একজন বিপ্লবী মহানায়ক। নজরুলের জীবনের উৎকৃষ্ট সময়ের তাঁর অনবদ্য ১২টি কবিতা নিয়ে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেটি তাকে অমর করে রেখেছে।’
কেননা একটি জাতির রাষ্ট্র সৃষ্টি, জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন এবং যে অর্জন, সেটি বিবেচনায় কাজী নজরুল তাঁর এই কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গের জন্য যে গুণাবলি এবং বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর মাঝে খুঁজে পেতেন। এই কাব্যগ্রন্থটির যতগুলো কবিতা আছে, বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় নিয়ে জাতির সংকটে, যেকোনো বিপদে, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে, সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সেগুলোর উক্তি মাঝেমধ্যে প্রকাশ করতেন।’
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন